দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকের আদলে কালীঘাটেও স্কাইওয়াক তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই কোভিড পর্ব শেষ হতেই শুরু হয় স্কাইওয়াক তৈরির কাজ। কিন্তু তারপর থেকে বারবার কাজ শেষের মেয়াদ পিছোনোয় বেড়ে গিয়েছে স্কাইওয়াক তৈরির খরচও। ৬০ কোটি থেকে বাজেট বেড়ে ৭৭ কোটি, সেখান থেকে আরও বেড়ে এখনই প্রায় ৯০ কোটি ছুঁইছুঁই। এই বারবার তারিখ বদলের কারণ হিসেবে নির্মাণকারী সংস্থার গড়িমসিকেই দায়ী করছে সংশ্লিষ্ট ওয়াকিবহাল মহল। ইতিমধ্যে পুজোর ছুটি শেষে দ্রুত গতিতে কাজ চললেও ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হবে না বলেই জানা গিয়েছে।
বারবার কালীঘাট স্কাইওয়াকের কাজ শেষের তারিখ বদলানোয় বিরক্ত ও ক্রুদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। পয়লা বৈশাখে কালীঘাটে পুজো দিতে গিয়ে কাজের অবস্থা দেখে অসন্তোষও প্রকাশ করেন তিনি। এরপরই স্কাইওয়াকের কাজের তদারকির জন্য পূর্ত দফতর, পুরসভা মিলিয়ে জনা দশেক আধিকারিকের একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়। তারাই জানিয়েছিলেন, ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে কাজ। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে তাতেও কাজ শেষ সম্ভব নয়। এদিকে পুজোর পর থেকে কাজ শেষের জন্য তাড়া দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রীও।
উল্লেখ্য, এই স্কাইওয়াকের কাজের মাঝে এসেছে বার বার বাধা। অপরিসর রাস্তায় নির্মাণ, হকার উচ্ছেদের পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় ভূগর্ভস্থ একাধিক পাইপলাইন সরানো। এছাড়া কালীঘাটে মাটির তলায় কতদূর পর্যন্ত মেট্রো স্টেশনের পিলার বিস্তৃত তা জানতেই কালঘাম ছুটে যায় ইঞ্জিনিয়ারদের। মেট্রোর পুরনো নকশা খুঁজে না পাওয়ায় শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোডের মুখে স্কাইওয়াকের পিলার বসানোর কাজ আটকে যায়। একে একে সব বাধা পেরিয়ে বর্তমানে ৮০টি পিলার তৈরিও হয়ে গিয়েছে। বাকি স্কাইওয়াকের ভিতরে হাঁটার রাস্তা নির্মাণের কাজ। তবে এবার কবে শেষ হবে কাজ তা ডিসেম্বর না এলে বলা সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিক।