Tarapith Temple : এক চুটকিতে কালো পাঁঠা রং বদলে সাদা! কালীপুজোর আগে তারাপীঠে এ কী কাণ্ড? – tarapith mandir dishonest businessmen cheat customers by selling white color goat


রাজ্যের শক্তিপীঠগুলির মধ্যে অন্যতম বীরভূমের তারাপীঠ। প্রায় সারা বছরই অসংখ্য ভক্ত মায়ের দর্শন পাওয়ার জন্য ভিড় করেন তারাপীঠের মন্দিরে। সম্প্রতি কৌশিকী অমাবস্যার দিনও তারপীঠে উপচে পড়েছিল ভক্তদের ভিড়। এহেন জাগ্রত ধর্মস্থানে অসাধু ব্যবসায়ীদের রমরমা। তারাপীঠ মন্দিরে এখনও চালু রয়েছে পশুবলি প্রথা। মনস্কামনা পূরণের জন্য অনেকেই তারা মায়ের কাছে মানত করেন। বলির পাঁঠা নিয়ে যত কাণ্ড। বলির জন্য পাঁঠার গায়ে করা হচ্ছে রং। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে তারাপীঠে।

তারাপীঠে অসাধু ব্যবসায়ীদের রমরমা

তারা মায়ের কাছে করা মনস্কামনা পূরণ হলে অনেকেই মানত রাখতে তারপীঠের মন্দিরে পাঁঠা বলি দেন। বলির দেওয়ার জন্য কালো পাঁঠার চাহিদা থাকে প্রচুর। সেখানেই ফাঁদ পেতেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। সাদা পাঁঠার গায়ে কালো রং করে চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। একাধিক এমন অভিযোগ সামনে এসেছে। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে তারাপীঠে।

কী ঘটনা?

মানত রয়েছে। তাই কালীপুজোয় বলি দেওয়ার জন্য তারাপীঠ থেকে কালো কুচকুচে পাঁঠা কিনেছিলেন রামপুরহাটের বাসিন্দা এক ব্যক্তি। লালন পালনও করছিলেন সযত্নে। কিন্তু পাঁঠাটিকে সাবান দিয়ে স্নান করাতে গিয়েই চোখ কপালে ওঠে ওই ক্রেতার। ওই ব্যক্তি দেখেন পাঁঠার গায়ে সাবান মাখাতেই গা থেকে উঠছে কালো রং। স্নান শেষে কালো পাঁঠা হয়ে গিয়েছে সাদা।

কালো পাঁঠার চাহিদা তুঙ্গে

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালীপুজোর আগে কালো পাঁঠার চাহিদা থাকে তুঙ্গে। অন্যান্যর রঙের তুলনায় এই কালো পাঁঠার দামও হয় প্রায় দ্বিগুণ। যেখানে অন্যান্য রঙের পাঁঠা হাজার দুয়েক টাকার মধ্যে পাওয়া যায়, সেখানে কালো পাঁঠার দাম হয় সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অন্য পাঁঠার গায়ে কালো রং করে তা চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

Kali Pujo: কালীপুজোর পরের দিন মূর্তি ছাড়াই পূজিত হয় জাগ্রত বনকালী, ৫০০ বছরের রীতি মেনে গভীর জঙ্গলে হাজার ভক্তের সমাগম
সামনেই কালীপুজো। তারাপীঠে প্রচুর ভক্ত সমাগম হবে। তার আগে এই ধরনের ঘটনা সামনে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, ‘তারাপীঠে বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে। তারা সুযোগের সদব্যবহার করে মানুষকে বোকা বানান। এই ধরনের ঘটনা সামনে আসা আমাদের সকলের কাছে অপমানের। প্রশাসনের এই নিয়ে পদক্ষেপ করা উচিত। এতে সবার কাছে এই জনপ্রিয় তীর্থস্থান সম্পর্ক খুবই খারাপ বার্তা যাবে। এটা অন্যায়।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *