প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা তথা কাঁথির সাংসদ শিশির সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কিছু তথ্য তুলে ধরে কুণাল দাবি করেন, নির্বাচনী হলফনামায় দেখা যাচ্ছে, এক বছরে শিশির অধিকারীর সম্পত্তি ১০ কোটি টাকা হয়েছে। ১৬ লক্ষ টাকা থেকে বেড়ে ১০ কোটি টাকা হয়েছে বলে দাবি করেন কুণাল। কিন্তু কী ভাবে এক বছরের মধ্যে এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বৃদ্ধি পেল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র।
গত শনিবার দুপুরে এক সাংবাদিক বৈঠকে বিভিন্ন নথি পেশ করে কুণাল ঘোষ দাবি করেন, শিশির অধিকারী সম্পত্তি ২০১১ সালে ছিল ১৬ লক্ষ টাকা। ২০১২ সালে সেটাই বেড়ে হয় ১০ কোটি টাকা। তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, ‘সম্পত্তি বৃদ্ধির বড় উদাহরণ হলেন শিশির অধিকারী, এক বছরে ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি, কী করে সম্ভব?’ এক্ষেত্রে তিনি যে তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন, তা সঠিক না ভুল, সেটিও শিশির অধিকারীর থেকে জানতে চান কুণাল। যদিও কুণাল ঘোষের সেই দাবির প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দেন শিশির। তিনি বলেন, ‘সারদায় জেল খাটা আসামির প্রশ্নের জবাব দেব না, ১৯৬৮ সাল থেকে আয়কর দিচ্ছি, সমস্ত কিছু রেকর্ড আছে, যে কেউ চাইলে দেখে নিতে পারেন।’
প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় সম্প্রতি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আর শাসকদলের প্রত্যেক নেতা-মন্ত্রী গ্রেফতারের পরেই তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তদন্তকারীরা।