বিভিন্ন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার রাজ্যের শাসকদলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী। এরই মাঝে এবার বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলল তৃণমূল। সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির রামেশ্বর তেলি, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সৌমিত্র খাঁ, জগদম্বিকা পাল, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ও অধিকারী পরিবারের নাম উল্লেখ করে, তাঁদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের মহিলা নেত্রী শশী পাঁজা। এই ৬ নামের ক্ষেত্রে কেন ইডি বা সিবিআই-এর নোটিশ নেই, এদিন সেই প্রশ্নও তোলেন শশী। একইসঙ্গে ইডি-সিবিআই-এর মতো সংস্থা যে তদন্ত চালাচ্ছে, তার সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার দাবি জানান শশী পাঁজা। পাশাপাশি এই সমস্ত তদন্তকারী সংস্থার যাতে অপব্যবহার না হয়, সেই দিকটিও দেখার দাবি তোলেন তিনি। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকও।

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা তথা কাঁথির সাংসদ শিশির সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কিছু তথ্য তুলে ধরে কুণাল দাবি করেন, নির্বাচনী হলফনামায় দেখা যাচ্ছে, এক বছরে শিশির অধিকারীর সম্পত্তি ১০ কোটি টাকা হয়েছে। ১৬ লক্ষ টাকা থেকে বেড়ে ১০ কোটি টাকা হয়েছে বলে দাবি করেন কুণাল। কিন্তু কী ভাবে এক বছরের মধ্যে এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বৃদ্ধি পেল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র।


গত শনিবার দুপুরে এক সাংবাদিক বৈঠকে বিভিন্ন নথি পেশ করে কুণাল ঘোষ দাবি করেন, শিশির অধিকারী সম্পত্তি ২০১১ সালে ছিল ১৬ লক্ষ টাকা। ২০১২ সালে সেটাই বেড়ে হয় ১০ কোটি টাকা। তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, ‘সম্পত্তি বৃদ্ধির বড় উদাহরণ হলেন শিশির অধিকারী, এক বছরে ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি, কী করে সম্ভব?’ এক্ষেত্রে তিনি যে তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন, তা সঠিক না ভুল, সেটিও শিশির অধিকারীর থেকে জানতে চান কুণাল। যদিও কুণাল ঘোষের সেই দাবির প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দেন শিশির। তিনি বলেন, ‘সারদায় জেল খাটা আসামির প্রশ্নের জবাব দেব না, ১৯৬৮ সাল থেকে আয়কর দিচ্ছি, সমস্ত কিছু রেকর্ড আছে, যে কেউ চাইলে দেখে নিতে পারেন।’

প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় সম্প্রতি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আর শাসকদলের প্রত্যেক নেতা-মন্ত্রী গ্রেফতারের পরেই তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তদন্তকারীরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version