Arjun Singh : ‘ওজন বেড়ে যাচ্ছে বলেই হয়তো…’, টিটাগড় খুনে অর্জুনের নিশানায় পুলিশ? – arjun singh barrackpore mp slams titagarh police station for recent murder case


টিটাগড়ে ভর সন্ধ্যায় গুলি করে খুন করা হয় মহম্মদ হাসান নামে এক যুবককে। বুধবার বাড়ির সামনে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে ওই যুবকের মাথায় গুলি করে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় যখন ফের একবার ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, তখনই মুখ খুলে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন।

ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের অন্তর্গত টিটগড়ে আগেও একাধিকবার গুলি চালনার ঘটনা ঘটেছে। ঝরেছে রক্ত, মৃত্যু হয়েছে অনেকের। বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশি নিরাপত্তা। বুধবার সন্ধেয় টিটাগড়ের ঘটনার পর ফের একবার পুলিশের দিকে ঘুরিয়ে আঙুল তুললেন স্থানীয় সাংসদ। অর্জুনের দাবি, ‘ উর্দির ভয় দিন দিন মানুষের মন থেকে মুছে যাচ্ছে। ফলে দুষ্কৃতীরা অপরাধ করতে ভয় পাচ্ছে না।’ অর্জুনের এই মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।

টিটাগড় নিয়ে অর্জুন উবাচ

বুধবার নিজের বাড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সাংসদ অর্জুন। তিনি বলেন, ‘হেরোইন বিক্রির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। সব থেকে বড় কথা একটি স্কুলের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে। আরও খুনের ঘটনা ঘটতে পারে এখানে। পুলিশের এখনই কড়া পদক্ষেপ করা উচিত। যে খুন হয়েছে, সে মাদক বিক্রেতা ছিল। কয়েকদিন আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। মাদক বিক্রি নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। আমি যতদূর জানি যারা এই খুনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তারাও এই লাইনের লোক।’
Stoneman : বীরভূমে ফের পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন, ঝড়ের গতিতে ছড়াচ্ছে ‘স্টোনম্যান’ আতঙ্ক
পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকায় নাখুশ অর্জুন!

ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটে চলেছে। পুলিশ প্রশাসনের কি এতে কোনও ভূমিকা নেই? এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন শাসকদলের এই বাহুবলী নেতা। তিনি বলেন, ‘প্রশাসন তাদের কাজ করছে। সেটার উত্তর আমার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে আমি বলছি, এটা কড়া হাতে দমন করা উচিত ছিল। উর্দির উপর দুষ্কৃতীদের ভয় কমে যাচ্ছে। সেই কারণে আটদিনের মধ্যে টিটাগড়ে পরপর দুটি খুনের ঘটনা ঘটল। একটা থানা এলাকায় পরপর এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু কোনও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না! কিছু না কিছু ব্যর্থতা নিশ্চয়ই রয়েছে। হয়তো থানায় বসে বসে ওজন বেড়ে যাচ্ছে। সিসিটিভি লাগিয়ে এখন দুষ্কৃতীদের থামানো যাবে না। কারণ দুষ্কৃতীরা ভয় পাচ্ছে না। ব্যারাকপুরের জন্য বিশেষ পুলিশি বন্দোবস্ত করা উচিত।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *