নন্দীগ্রাম দিবস নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ
২০০৭ সালের ১০ নভেম্বর জমি আন্দোলন ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম। আন্দোলনকারী ও স্থানীয় গ্রামবাসীদের দিকে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। গুলিতে মৃত্যু হয় অনেকের। তারপর থেকে প্রতি বছর ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধী কমিটির ব্যানারে পালিত হয় নন্দীগ্রাম দিবস। কিন্তু শুভেন্দুর তৃণমূল ত্যাগের পর একাধিকবার নন্দীগ্রাম দিবস পালন নিয়ে তরজা দেখেছে রাজ্য। কিন্তু এবার এখনও অবধি এই নিয়ে কোনও দ্বন্দ্ব দেখা যায়নি।
গোকুলনগরে শহিদ বেদিতে মাল্যদান করে শুভেন্দু বলেন, ‘২০২১ সালের পর থেকে অনেকে এখানে আসেন। আজকেও পরিযায়ীরা এখানে আসবেন, যাঁরা রেশনের টাকা খেয়েছেন, চাকরি বিক্রি করেছেন, কয়লা থেকে টাকা নিয়েছেন। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরাজিত হওয়ার পর অনেকে খুন হয়েছে। ২০২৩-এর পঞ্চায়েতে আমরা জয়ী হওয়ার পর নন্দীগ্রামে শান্তি বিরাজ করছে। তবে প্রশাসনকে ধন্যবাদ, কারণ এবার আর এখানে আসার জন্য আমাদের হাইকোর্ট অবধি যেতে হয়নি। পরের বছর যখন শহিদ দিবস পালিত হবে, তখন এই চোররা বাংলায় থাকবে না। আমি আজ বলে গেলাম। এখান থেকে লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি অনেক ভোটে জিতবে।’
সৌগত-মদনকে কটাক্ষ
কামারহাটি পুরসভার পরিষেবা নিয়ে তরজায় জড়িয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় ও বিধায়ক মদন মিত্র। সৌগতকে বেনজির আক্রমণ করেছেন মদন। এই নিয়ে এদিন মুখ খুলেছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেন, ‘এই নিয়ে কথা বলতে চাই না। সৌগত রায়ের দেহে সোডিয়াম-পটাশিয়াম কম। আর মদন মিত্র নথিভুক্ত মাতাল। ২০২১ সালের ভোটের আগে নন্দীগ্রামে এসে চ্যালেঞ্জ করেছিল, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারলে হাতের পাঞ্জা কেটে ফেলবেন। কিন্তু ওঁর হাত এখনও অক্ষত রয়েছে।’
কালীঘাটের কাকুকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি
কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুন পরীক্ষা নিয়ে কয়েকদিন ধরে তরজা চলছে। অবশেষে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেছে SSKM। সেই কটাক্ষ করে শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘চুলের মুঠি ধরে ওঁকে দিল্লির এইমসে নিয়ে যাওয়া উচিত। ভাইপোর কাকুকে এখনই দিল্লি নিয়ে যাওয়া উচিত, তখনই সব পেট থেকে বেরিয়ে যাবে।’