Dilip Ghosh : নবদ্বীপে গিয়ে মুখে হাঁ! ‘সর্বত্র লুঠ হচ্ছে…’, তৃণমূলকে নিশানা দিলীপের – bjp mp dilip ghosh slams trinamool congress on corruption issue


পুরসভা থেকে জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সর্বত্র চলছে লুঠ। রবিবার সকালে নবদ্বীপে এসে এমনই অভিযোগ করলেন, বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সহ সভাপতি ও মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। রবিবার সকালে নবদ্বীপের স্থানীয় বিজেপির নেতৃত্বদের নিয়ে মনিপুর ঘাট সংলগ্ন কার্গিল কলোনি এলাকা পরিদর্শনে যান বিজেপি সাংসদ। সেখানে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিজেপি সাংসদ।

দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা

নবদ্বীপের মনিপুর ঘাট সংলগ্ন কার্গিল কলোনি এলাকায় সম্প্রতি অত্যাধুনিক মেশিন দিয়ে গঙ্গা থেকে জল সমেত বালি মাটি তোলার কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজের দায়িত্বে রয়েছে একটি ঠিকাদার সংস্থা। সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এই নিয়ে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপি নেতা।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ বলেন, ‘রাজ্যজুড়ে সর্বত্র লুঠ চলছে। ডোবা, পুকুর ভরাট থেকে শুরু করে গঙ্গা থেকে মাটি কেটে পাচার হয়ে যাচ্ছে। পুরসভা থেকে জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত থেকে সরকারি দফতর, সবাই দুর্নীতিতে জড়িত। গঙ্গা থেকে বালি মাটি কেটে পাচার হয়ে যাচ্ছে। কেউ জানে না এই মাটি কোথায় যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের টাকায় গঙ্গার সমস্ত ঘাট গুলিকে সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে। এতে রাজ্য সরকারের একটা পয়সাও নেই।’

Babul Supriyo VS Dilip Ghosh: ‘বাবুলকে কে মনে রেখেছে?’ তীব্র কটাক্ষের সঙ্গে ভাইফোঁটায় ‘দিদি’-এর কাছে বিশেষ আবেদন দিলীপের
ভাঙন নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করতে শোনা যায় বিজেপি সাংসদকে। তিনি বলেন, ‘মাটি এখান থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এই মাটি কোথায় পাচার হচ্ছে, তা কেউ জানে না। এভাবে চলতে থাকলে নদীর পাড় গুলি ভেঙে পড়বে। স্থানের ঘাটগুলির ক্ষতি হবে।’

পালটা প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের

দিলীপের এই মন্তব্য নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল। নবদ্বীপ পুরসভার কাউন্সিলর বিমান কৃষ্ণ সাহা বলেন, ‘দিলীপবাবু নবদ্বীপে এসেছেন রাজনীতি করতে। উনি জানেন না কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ পোর্ট ট্রাস্টের থেকে অনুমতি নিয়েই গঙ্গা থেকে বালি মাটি কাটা হচ্ছে। উনি বুদ্ধিমান হলে তাঁর সরকারের অধীনস্থ পোর্ট ট্রাস্টে খোঁজ নিতেন। আদতে তিনি নবদ্বীপে এসেছেন স্থানীয় নেতৃত্বদের নিয়ে এলাকায় রাজনীতি করতে। প্রকাশ্য দিনের আলোয় বিনা অনুমতিতে এভাবে গঙ্গা থেকে বালি মাটি কাটা যায় না। রীতিমতন রেভিনিউ কেটেই এই কাজ হচ্ছে। পুরোপুরি প্রক্রিয়া মেনেই কেন্দ্রীয় সংস্থা থেকে অতিরিক্ত জেলা শাসক ও ভূমি রাজস্ব দফতরের অনুমতি নেওয়া হয়েছে। বালি মাটি উন্নয়নের কাজে লাগান হচ্ছে। সেটা দিলীপবাবুর গাত্রদাহ হচ্ছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *