তৃণমূল সুপ্রিমোর হুঙ্কার,’ওরা চোর বলে আমাদের চারজনকে জেলে ঢোকালে ওদের বিরুদ্ধে যে খুনের ঘটনা রয়েছে, তাতে ওদের ৮ জনকে জেলে ভরব। ওদের নামে যা যা মামলা রয়েছে সব খুলব। বিজেপির আয়ু আর তিন মাস। তারপর? তারপর কী হবে সেটাও ভাবুন। আজ সিপিএম ও বিজেপি কোলবালিশ হয়ে ঘুরছে। সব হিসেব হবে। ওরা সব শূন্যই থাকবে।’
এই প্রসঙ্গে নিজের দলের জেলবন্দি নেতাদের নামও তুললেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, ‘কেষ্ট জেলে, পার্থ জেলে, মাণিক জেলে। বালুকেও জেলে ঢুকিয়েছ। খুব হাসছো না? ভাবছেন এটাই চলবে? মনে রেখো তোমরা যখন ক্ষমতায় থাকবে না, তখন তোমরা কোথায় থাকবে? তোমরা সব সেলে থাকবে। বাইরে সব গদ্দাররা ঘুরছে, বলছে ওই দিন ED CBI যাবে। ওমনি ইডি-সিবিআই চলে যাচ্ছে। সব সিজ করে নিচ্ছে। এদিকে সিজার লিস্ট দিচ্ছে না।’
জেলবন্দি সতীর্থ সহ ইডি সিবিআইয়ের স্ক্যানারে থাকা নেতাদের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর বার্তা, ‘ববি সেদিন বলছিল, দিদি কোমরটায় খুব ব্যথা হচ্ছে। আমি বললাম, কেন? তখন বলছে মার খেয়েছি। দিল্লিতে ধরনা দিতে গিয়ে ডান্ডার পর ডান্ডা খেয়েছে। বক্সিদাও ডান্ডা খেয়েছে। তারপর বালুকে নিয়ে গিয়েছে জেলে। ওখানে ডান্ডার পর ডান্ডা খেয়েছে। এরা অনেক ডান্ডা খেয়েছে, অনেক লড়াই করেছে। আমার অনেক লড়াইয়ের সাথী।’
এই সমস্ত বঞ্চনার প্রতিবাদে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি না, এরা চোর। আমাদের চারটে MLA’কে জেলে ভরে রেখেছে। এর বদলা নিতে হবে, রাজনৈতিক বদলা। রাজনৈতিক ভাবে প্রতিটি বুথে হারিয়ে, ব্যাগপত্র গুটিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিন। রাজনৈতিক ভাবে সিপিএমেরও কান মুলে দিন। সবচেয়ে বেশি টাকা খায় ওরা। তাই ওরাই পকেটমার, পকেটমার রব তুলে পালায়।’
