এই প্রসঙ্গে সরকারি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেন, ‘সংগঠন এতদিন পর্যন্ত DA-র দাবি করছিল। কিন্তু, এখন আমরা চাই কেন্দ্রে যে সরকার ক্ষমতায় রয়েছে তারা রাজ্যে আসুক।’ অর্থাৎ নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থানও স্পষ্ট করেছে সরকারি কর্মচারী পরিষদ। এই প্রথম কোনও সরকারি কর্মীদের সংগঠন এভাবে প্রকাশ্যে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান খুল্লামখুল্লা ঘোষণা করল।
পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সংগঠনের তরফে আরও বলা হয়, ‘এই মুহূর্তে কেন্দ্র এবং রাজস্থান, ওডিশা, ঝাড়খন্ড, অসম, উত্তর প্রদেশ, বিহারের সরকারি কর্মীরা ৪৬ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল এবং ডিভিশন দুই বেঞ্চেই DA অধিকার নয় বলে যে যুক্তি রাজ্য দেখিয়েছিল তা খারিজ হয়ে যায়।’ ছুটি নয়, DA চান তাঁরা, দাবি সরকারি কর্মচারি সংগঠনের।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আইনি লড়াই লড়ছে কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের পক্ষ থেকে শ্যামল মিত্র বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা দিয়ে মেধার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছি। কোথায় চাকরি করব, সেই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ আমাদের। আর একটা বিষয়, তিনি বলেছেন DA-টা অধিকার নয়, ঐচ্ছিক। আসলে চারিদিকে এত দুর্নীতির অভিযোগ যে তিনি সঠিক কথা বলছেন না। এর আগে স্যাট এবং হাইকোর্ট বলেছিল ডিএ অধিকার। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। কোনওভাবেই থেমে থাকার প্রশ্ন ওঠে না।’
একইসঙ্গে ইউনিটি ফোরামের পক্ষ থেকে দেবপ্রসাদ হালদার বলেন, ‘আদালত যা নির্দেশ দেবে সেটাই আসল। তাই মুখ্যমন্ত্রী কী বললেন তাতে কিছু যায় আসে না।’ অর্থাৎ DA আন্দোলন কোনওভাবেই থামছে না, তা স্পষ্ট করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আপাতত এই তিনটি সংগঠন DA মামলার সঙ্গে যুক্ত। কলকাতা হাইকোর্টে মামলাটিতে জয় হয়েছিল তাঁদের। মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। আগামী বছর তা শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।