জল প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের পথে, নির্ধারিত সময়ের আগেই মিলবে জল – drinking water supply project is nearing completion in uluberia


এই সময়, উলুবেড়িয়া: কেউ খাবার জল আনেন রাস্তার টাইম কল থেকে। কেউ নেন টিউবওয়েল থেকে। অনেককেই জলের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয়। ঘরে বসেই যাতে মানুষ পানীয় জল পান, তা নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকারের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর উলুবেড়িয়ায় এক প্রকল্পের সূচনা করেছিল। বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের কাজ এখন শেষের পথে। ২০২৪ সালের জুলাই নাগাদ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রশাসনের বক্তব্য, নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ হবে। ঘরে বসে জল পাওয়া এখন নেহাতই সময়ের অপেক্ষা।

জল প্রকল্প থেকে পরিশ্রুত জল শ্যামপুর-১, শ্যামপুর-২, উলুবেড়িয়া-১, বাগনান-১ এবং বাগনান-২ ব্লকের মতো গ্রামীণ হাওড়ার একটা বড় অংশে সরবরাহ করা হবে। উলুবেড়িয়ার কালীনগরে শ্যামপুর জল প্রকল্পের কাজ চলছে। উলুবেড়িয়া দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক রাজ্যের জনস্বাস্থ্য এবং কারিগরি ও পূর্ত মন্ত্রী পুলক রায় বলেন, ‘এই প্রকল্পের কাজ হচ্ছে আমাদের এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রীর এটি স্বপ্নের প্রকল্প। বাড়ি বাড়ি জল দেওয়ায় এলাকাবাসীও উপকৃত হবেন।’

গঙ্গার পাশেই কালীনগরে প্রায় ২০ একর জায়গা জুড়ে জলাধার ও জল পরিশোধন করার জন্য পরীক্ষাগার, প্রশাসনিক ভবন, কর্মীদের থাকার চার তলা বিল্ডিংয়ের কাজ প্রায় শেষ। এই প্রকল্পের জন্য ২৫৮ কোটি টাকা ধার্য হয়েছে। কাজের বরাত পেয়েছে ডব্লিউপিআইএল নামে এক সংস্থা। বড় বড় পাইপ বসিয়ে গঙ্গা থেকে তিন কিলোমিটারের বেশি দূরে এই প্রকল্পে জল এনে তা পরিশোধন করা হবে। সেই পরিশোধিত জল নির্দিষ্ট ব্লকের প্রতিটি বাড়ি পৌঁছে যাবে।

জানা গেল গঙ্গা বা হুগলি নদীর কাঁজিয়াখালির রাঙামাটি ঘাট থেকে জল নিয়ে আসা হবে মূল জলাধারে। যেখানে জল নিয়ে আসা হবে সেখান থেকে নদীর দূরত্ব প্রায় ১৬০ মিটার। এই ব্যবস্থা ইনটেক জেটি অ্যান্ড এপ্রোজ ব্রিজ নামে পরিচিত। ওই সংস্থার প্রকল্প আধিকারিক সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘পাড় থেকে জল সংগ্রহ করার ব্যবস্থাকে ইনটেক জেটি অ্যান্ড অ্যাপ্রোচ ব্রিজ বলা হয়। গঙ্গার বুকে এই ধরনের প্রকল্প দেশের মধ্যে প্রথম। গঙ্গার বাঁধ ঘেঁষে পাইপ বসানো হয়েছে। ফলে মাঝ গঙ্গায় জাহাজ চলাচলে কোনও অসুবিধা হবে না।’ সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার দেবজিৎ মজুমদার বলেন, ‘২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল। গঙ্গা থেকে জল নেওয়ার জন্য পাইপ বসানো হয়েছে।’

গ্রামীণ এলাকায় এই ধরনের প্রকল্প হওয়ায় কালীনগর গ্রাম পঞ্চায়েত-সহ উলুবেড়িয়া দক্ষিণ বিধানসভা এলাকার অর্থনৈতিক ব্যবস্থাও পাল্টে যাবে বলে আশা করছেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের উলুবেড়িয়া দক্ষিণ কেন্দ্রের সভাপতি সেলিম মোল্লা। সংশ্লিষ্ট ব্লকের বাসিন্দারা এখন আশায় দিন গুনছেন কবে থেকে ঘরে বসেই জল পাবেন তাঁরা। প্রশাসনিক সূত্রে জানা যাচ্ছে, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ঘরে ঘরে জল দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *