কী বললেন ফিরহাদ?
এবিপি আনন্দের সঙ্গে কথা বলার সময় পুর ও নগরোয়ন্ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘রাজনীতি আর চাকরি আলাদা। বয়স হলে দৌড়নো সম্ভব না এটা ঠিক। তবে রাজনীতিকে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা। আমরা সবাই স্বেচ্ছাসেবক, কেউ কর্মী নই। অভিষেক যেটা বলছেন, ঠিক বলছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে বলেই আমরা রয়েছি। আমি চাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও ২০ বছর সুস্থ সবল থাকুন। অভিজ্ঞতার আলাদা দাম রয়েছে।’
ফিরহাদের মতে, প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একমাত্র মাপকাঠি গ্রহণযোগ্যতা। তিনি বলেন, ‘প্রার্থী হওয়ার বিষয়েও একমাত্র মাপকাঠি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা। আমি তো এখনও মনে করি ডায়মন্ড হারবারে সব থেকে বেশি গ্রহণযোগ্যতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তেমন অন্য কোনও জায়গায় আরও কারও হতে পারে। মিছিল-মিটিং ও মানুষের কাছে যাওয়ার ক্ষেত্রে নবীনদের প্রয়োজন। আমি যেমন এখন মধ্যবয়সী, কয়েকদিন পর প্রবীণ হব। আজ যাঁরা নবীন কাল তাঁরা মধ্য বয়সে পৌঁছবেন।’
‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নিয়ে মতের অমিল?
২০২১-এ তৃণমূল তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর শাসকদলের অন্দরে চালু হয়েছিল এক ব্যক্তি এক পদ। সেই নিয়ে দলের কারও কারও অমত ছিল। সেই ইস্যুতেও এদিন ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন পুরমন্ত্রী। ফিরহাদ বলেন, ‘দলে অনেক ধরনের মতামত থাকে, আলোচনা হয়। আমরা সবাই মতামত দিই। সিদ্ধান্ত নেন আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যেটা ঠিক করেন আমরা সেটা মেনে নিই। দলে খোলা হাওয়ার মতো কথা বলার জায়গা রয়েছে। এক ব্যক্তি এক পদ নিয়ে এখনও আলোচনার মতো বিষয় রয়েছে। ব্যক্তি বিশেষে মতামত আলাদা। তবে এই নিয়ে আমার তত্ত্ব বাইরে বলব না। সেটা দলের ভিতরে বলব।’
উল্লেখ্য, নবীন-প্রবীণ তত্ত্ব নিয়ে সম্প্রতি মুখ খোলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘সব পেশাতেই বয়সের একটা ঊর্ধ্বসীমা অবশ্যই থাকা প্রয়োজন। কারণ নবীনদের পক্ষে যে পরিশ্রম করা সম্ভব, প্রবীণদের পক্ষে কখনই তা সম্ভব না।’