কী ঘটনা ঘটেছে?
সিঙ্গুর গোলাপ মোহিনী মল্লিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা -২০২৩ এর এই প্রশ্ন ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ। স্কুলের প্রশ্নপত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক অভিভাবক। বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। যদিও বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। সিলেবাসে আছে সিঙ্গুর আন্দোলনের বিষয়, সেই কারণেই এরকম প্রশ্ন করা হয়েছে। যুক্তি স্কুল শিক্ষিকার।
কেন এমন প্রশ্ন?
পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অষ্টম শ্রেণির পুস্তক অতীত ও ঐতিহ্য। এই ইতিহাস বই এর একটি অংশ ‘কৃষি জমির অধিকার : সিঙ্গুর গন আন্দোলন’। এই সিলেবাসে সিঙ্গুরে টাটা গাড়ির কারখানাকে কেন্দ্র করে জমি অধিগ্রহণ, কৃষকদের আন্দোলন ও জমি ফেরত দেওয়া সহ একাধিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত আছে। পাঠ্যপুস্তকের সিলেবাসে এই বিষয় নিয়ে এর আগেও একাধিক বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। এবার সিঙ্গুর গোলাপ মোহনী মল্লিক উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়-এর বার্ষিক ইতিহাস পরীক্ষার প্রশ্ন ঘিরে আবারো শুরু হল নতুন বিতর্ক। বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে তীর্যক মন্ত্যব। কটাক্ষ করেছে বিজেপিও।
কী বলছে বিজেপি?
সিঙ্গুরের বিজেপি নেতা মধুসূদন দাসের দাবি, পাঠ্যপুস্তকে সিঙ্গুর আন্দোলনের ইতিহাসটা ভুলে ভরা। ভুল ইতিহাস শিখিয়ে পড়ুয়াদের পঙ্গু করে দেওয়া হচ্ছে। ইতিহাসে যাদের নাম আছে তাদের অনেকে দুর্নীতির দায়ে জেল খাটছে। শিক্ষা মন্ত্রী থেকে সচিব সবাই জেলে। আর নিচে নামার জায়গা নেই! হীরকরানীর রাজ্যে সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা দাসদাসী তে পরিনত হয়েছে। তারা যা বলবে , শিক্ষক শিক্ষিকারা তা করতে বাধ্য থাকবে।
তৃণমূল কী বলছে?
পাল্টা সিঙ্গুর ব্লক তৃণমূল কংগ্ৰেস কমিটির সভাপতি গোবিন্দ ধাড়া বলেন, সিঙ্গুরের জমি ফেরত পাওয়ার পর ২০১৬ সালে অক্টোবর মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম টাটার মাঠে সরষে ছড়িয়েছিল। এটা পাঠ্য পুস্তকের সিলেবাসে আছে এবং তা থেকেই প্রশ্ন হয়েছে। কোন কারনে হয়তো প্রিন্টিং মিসটেক হয়ে প্রশ্নটা ভুল হতে পারে অন্য কোন বিষয় নয়। বিজেপি এটা নিয়েছে যেভাবে তাচ্ছিল্য করছে সেটা ঠিক নয়। তাদের চরিত্রই এসব করা।।
স্কুলের শিক্ষিকা কী বলছেন ?
সিঙ্গুর গোলাপ মোহিনী মল্লিক উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের পার্শ্বশিক্ষিকা বনানী চৌধুরী জানান, পাঠ্যপুস্তকে সিঙ্গুর আন্দোলন বলে একটি চ্যাপ্টার আছে। সেই চ্যাপ্টার থেকে যেহেতু বড় প্রশ্ন দেয়া হয়নি, তাই একটি মাত্র ছোট সহজ প্রশ্ন দেয়া হয়েছিল। তবে 2016 সালে সিঙ্গুরের মাটিতে প্রথম কে সর্ষে বীজ ছড়িয়েছিল, সেই সালটা উল্লেখ করলে ভালো হতো।