Sikkim Tour : সিকিম যাওয়ার রুট বদল? ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে চলবে কোন কোন গাড়ি, বিজ্ঞপ্তি জারি – kalimpong district administration issue notification regarding traffic movement on national highway 10


পুজোর আগে হড়পা বানে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল সিকিম। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একটা বড় অংশ কার্যত ধসে গিয়েছিল। দুর্যোগ কাটিয়ে এবার ক্রমশই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পথে। ধীরে ধীরে যাতায়াতের জন্য খুলে যাচ্ছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। আর কিছুদিনের মধ্যে পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

স্বাভাবিকের পথে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক

অক্টোবর মাসে সিকিমে হড়পা বানের জেরে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। তবে ঘটনার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধসে যাওয়া জায়গাগুলিতে ফের রাস্তা বানানো হয়। এতদিন সেখান দিয়ে ছোট গাড়ি চলাচল করছিল। তবে সম্প্রতি কালিম্পং জেলা প্রশাসনের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আপাতত কোন কোন গাড়ি ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে চলবে।

রুট নির্ধারিত করেছে প্রশাসন

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোট গাড়ির ক্ষেত্রে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে কালিম্পং, সিকিম যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। পর্যটকেরা এই রাস্তা দিয়েই যেতে পারবেন। বাস, ৬ টন পর্যন্ত মালবাহী গাড়ি, ৯ কিলোলিটার ওজন অবধি তেলের ট্যাঙ্কারের যাতায়তের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা নেই।

তবে ৬ টনের উপর ও অতিভারী মালবাহী গাড়িগুলির ক্ষেত্রে কিছু রুট দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই গাড়িগুলিকে মেল্লি ব্রিজ, চিত্রে, আলগারাহ, লাভা ও গরুবাথান রুট হয়ে চলাচল করবে। প্রশাসনের তরফে এই গাড়িগুলি চলাচলের সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। রাত ৯টা থেকে সকাল ৬টা অবধি গাড়িগুলি ওই রুট ধরে চলাচল করতে পারবে।

অন্যদিকে এখনও রাস্তা মেরামতির কাজ চলছে। সেই কারণে রাস্তার বিভিন্ন অংশে সিঙ্গল ওয়ে ট্রাফিক চলাচল করছে। লিকুভির, মেল্লি বাজারের কাছে, ভালু খোলা, ৮ মাইল এই জায়গাগুলি দিয়ে একমুখী যান চলাচল করবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

হড়পা বানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

পুজোর মুখে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ভয়ঙ্কর দুর্যোগের মুখে পড়ে সিকিম। হড়পা বানে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের অন্যতম জনপ্রিয় এই পর্যটন কেন্দ্র। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একটা বড় অংশ কার্যত ধসে গিয়েছিল। জলে ভেসে যায় বহু বাড়ি। হড়পা বানের কারণে বহু মানুষের মৃত্য হয়। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে যে সামাল দিতে সেনা নামনো হয়। পর্যটন ও স্থানীয়দের উদ্ধার করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন সেনাকর্মীর মৃত্যু হয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *