জিয়াগঞ্জের ছেলে অরিজিতের কণ্ঠে মুগ্ধ আট থেকে আশি। বলিউড-টলিউডের তাবড় তাবড় প্রযোজক, পরিচালক, সুরকাররা তাঁর সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে থাকেন। তাঁর এক একটি কনসার্টের টিকিট বিক্রি হয় লাখ লাখ টাকায়।
হাওড়ার মানুষজনের আনন্দ উৎসবে গান গাওয়ার জন্য কত টাকা নিয়েছেন তিনি? জানলে চমকে উঠবেন। হাওড়া পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘হাওড়ার কার্নিভালে গান গাওয়ার জন্য কোনও টাকা নেননি অরিজিৎ সিং।’ তিনি মজার ছলেই বলেন, ‘এত বড় গায়ককে টাকা দিয়ে গান গাওয়ানোর ক্ষমতা আমাদের নেই। আসলে একটি এজেন্সির মাধ্যমে হাওড়া পুরসভার পক্ষ থেকে অরিজিৎ সিংয়ের কাছে গানটি গেয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। শিল্পী তাতে সাড়া দিয়েছেন। আর সেই জন্য সারা জীবন আমরা কৃতজ্ঞ থাকব। বারবার তাঁদের ধন্যবাদও জানানো হচ্ছে।’
সুজয় চক্রবর্তী আরও বলেন, ‘হাওড়াবাসীর জন্য কোনও অর্থ ছাড়াই গান গাইতে রাজি হয়েছেন অরিজিৎ সিং। তিনি এক বড় একজন গায়ক! তবুও সামান্য পারিশ্রমিক বা সাম্মানিক হিসেবে অর্থ নেননি। আমরা এই উৎসবের দিনগুলিতে তাঁকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
উল্লেখ্য, অরিজিৎ সিং বরাবর সমাজসেবামূলক কাজের জন্য পরিচিত। তিনি একটি লাইভ কনসার্টে জানিয়েছিলেন, স্বামী বিবেকানন্দের দেখানো পথে তিনি চলতে চান জীবনে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কোনও বিপদে আপদে পাশে পাওয়া যায় গায়ককে। এবার হাওড়ার মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য বিনামূল্যেই গান গাইলেন তিনি।
উল্লেখ্য, এই প্রথম হাওড়ায় ক্রিসমাস কার্নিভ্যাল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর জন্য গঠন করা হয়েছে একটি কমিটিও। পুরসভার তরফে এই কার্নিভ্যালকে যাবতীয় সাহায্য করা হচ্ছে। ২২ তারিখ অরিজিৎ সিংয়ের গাওয়া থিম সংটির উদ্বোধন করা হয়। এই ক্রিসমাস কার্নিভ্যালে একাধিক শিল্পীরা পারফর্ম করেন। এছাড়াও শিশুদের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল বিভিন্ন ধরনের গেমসের।
স্বাভাবিকভাবেই বছরের শেষ মুহূর্তে যাবতীয় আনন্দের মুহূর্ত সঞ্চয় করে রাখছেন সাধারণ মানুষ। গান বাজনা, আলোকসজ্জা তো বটেই, পাশাপাশি হাওড়ার প্রথম ক্রিসমাস কার্নিভ্যালে অন্যতম আকর্ষণের বিষয়বস্তু ছিল অরিজিৎ সিংয়ের গাওয়া থিমসং।