Durgapur Crematorium : নব নির্মিত শ্মশান ‘ভুতুড়ে’! দুর্গাপুর পুরসভার গাফিলতিই দায়ী, মত স্থানীয়দের – durgapur newly made crematorium is in extreme bad condition for lack of maintenance


পুরসভার নজরদারির অভাবে আলোয় ঝলমলে শিল্প শহরে শ্মশান যেন প্রকৃত অর্থে ভুতুড়ে রূপ নিয়েছে। দুর্গাপুর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আমরাই এলাকায় বেহাল দশা শ্মশানের। দুর্গাপুর পুরসভার নজরদারির অভাবে নব নির্মিত কংক্রিটের শ্মশানঘাট ঝোপঝাড় ও জঙ্গলে ঢেকেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। পুরসভার উপর একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।

শ্মশান যাত্রীদের আরও অভিযোগ, পাঁচিল ঘেরা ওই শ্মশান ঘাটে নেই জলের কোনও ব্যবস্থা। ওই নবনির্মিত শ্মশানে কোনও প্রতীক্ষালয় তৈরি করা হয়নি বলে অভিযোগ। নেই পোশাক পরিবর্তন করার কোনও ঘর। নোংরা আবর্জনায় ভরে গিয়েছে। ফলে মৃতদেহ সৎকার করতে আসা শ্মশানযাত্রীরা বিস্তর সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।

শ্মশানযাত্রীদের আরও অভিযোগ, সাপখোপের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে ওই শ্মশান। বিদ্যুতের ব্যবস্থা রয়েছে, রয়েছে আলোও। কিন্তু বড়বড় গাছগাছালিতে আলো আঁধারে পরিণত হয়েছে শ্মশান চত্বর। শবদেহ দাহ করতে গিয়ে আতঙ্কে ভুগছেন শ্মশান যাত্রীরা। এলাকাবাসীসহ শ্মশান যাত্রীদের দাবি, ওই শ্মশানের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে পুরসভাকে। পাশাপাশি পানীয় জল থেকে ভিন্ন কাজের প্রয়োজনীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে অবিলম্বে।

স্থানীয় বাসিন্দা বামন দাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এলাকার প্রধান রাস্তা থেকে শ্মশানে যাওয়ার রাস্তা নেই। ওই রাস্তাটি কংক্রিটের করতে হবে। তা না হলে বর্ষকালে সমস্যা হয় যাতায়াতে। পাশাপাশি ঝোপজঙ্গলে ভরে গিয়েছে রাস্তা সহ শ্মশান চত্বর। শ্মশানে হাত-পা ধোয়ার জল নেই। পানীয়জলের তো কোনও কিছুই ব্যবস্থা নেই। কোনও প্রতীক্ষালয় নেই, বসার জায়গা নেই। শ্মশান যাত্রীরা শবদেহ দাহ করতে এসে দাঁড়িয়ে থাকেন। পুরসভার উদাসীনতার জন্য এমন অবস্থা।’

মৃণাল বিদ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘শ্মশানে আসতে অনেকের মনেই কুণ্ঠা বোধ থাকে। কিন্তু রাতে এই শ্মশানে আসতে সবার সত্যিই ভয় করবে। কারণ শ্মাশনের ভগ্নদশা। এই কারণে শ্মশানযাত্রীদেরও সমস্যার মুখে পড়তে হয়। অনেক ধরনের সমস্যা হয়। পুরসভার সমস্যা সমাধান করা উচিত।’

কী বলছে পুরসভা?

দুর্গাপুর পুরসভার পুর প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অনিন্দিতা মুখোপাধ্যা দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘অবিলম্বে সমস্যা সমাধান করতে হবে। প্রথমে রাস্তা হয়ে যাওয়ার পরে জলের ও আলোর ব্যবস্থা করব। মানুষের দাবি থাকবে। আমরা মানুষের টাকা দিয়েই কাজ করি। আর মানুষের জন্যই করি। ফান্ডের পরিস্থিতি দেখে করা হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *