কী জানা যাচ্ছে?
রাজপুর সোনারপুর পুরসভার পার্ক ৮৪ এর বহুতল আবাসনে ফ্ল্যাটের মধ্য থেকে তিনজনের দেহ উদ্ধার করা হয় বুধবার সকালে। তিন তলা আবাসন। মূলত, বাড়িতেই থাকতেন ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা। বাইরে মেলামেশা খুব একটা তাঁরা করতেন না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ২৮ তারিখ পরিবারের সঙ্গে শেষ কথা হয় আশেপাশের কয়েকজনের। আজ বাড়ির ভেতর থেকে পচা গন্ধ পান স্থানীয়রা। তারপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ কী জানাচ্ছে?
পুলিশ জানিয়েছে, দরজা ভেঙে দেখা যায়, ঝুলছেন মা, বাবা এবং তাঁদের বছর উনচল্লিশের ছেলে। দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন পুরো পরিবার। তবে কেন পরিবারের সকলে মিলে এই সিদ্ধান্ত নিলেন, তা এখনও পরিষ্কার নয়। বাড়ির বাসিন্দাদের নাম অপর্ণা মৈত্র (৬৮), তাঁর স্বামী স্বপন মৈত্র (৭৫) এবং তাঁদের ছেলে সুমনরাজ মৈত্রের। স্বপন মৈত্র পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন বলে জানতে পারা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঘরের তিনটি আলাদা জায়গায় তিনটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কেন তাঁরা তিনজনেই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। ঘরের মধ্যে থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। ওই পরিবারের সঙ্গে কারও কোনও বিরোধ, অশান্তি ছিল কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের তরফে ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের মোবাইল, কল লিস্ট ঘেঁটে দেখা হচ্ছে। তাঁদের পরিজন, আত্মীয়দের খোঁজ করে যোগাযোগের চেষ্টা করছে পুলিশ।
স্থানীয়রা কী বলছেন?
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, এঁদের পরিবারে অশান্তি ছিল বলে তো কিছু জানতাম না। তবে পাড়ায় সকলের সঙ্গে খুব বেশি মেলামেশা করতো না। নিজেদের মতোই থাকতো। তবে কেন এমন কাণ্ড ঘটালো সেটা বলতে পারবো না। আজকে সকাল থেকেই ফ্ল্যাটের আশেপাশে একটা দুর্গন্ধ পাচ্ছিলাম আমরা। সেই কারণেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়।