Singur News,সিঙ্গুরের জমিহারাদের ক্ষতিপূরণ ও জমি ফেরত নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানতে চাইল হাইকোর্ট – calcutta high court seeks report to know the position of state on compensation of landowners in singur


সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও সিঙ্গুরের জমিহারাদের ক্ষতিপূরণ ও জমি ফেরত দেয়নি সরকার। এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাষি ও এলাকাবাসীদের একাংশ। বৃহস্পতিবার মামলাটি ওঠে হাইকোর্টে। প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এই নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানতে চান। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে জানাতে হবে ঠিক কী পদক্ষেপ নিয়েছে তারা।

কৃষিজমিতে টাটাদের মোটরগাড়ি কারখানা তৈরির প্রতিবাদকে সামনে রেখে উত্তাল হয়েছিল সিঙ্গুর। কারখানা শেষমেশ হয়নি তবে অনেকেই বলে থাকেন, তার পরিবর্তে ক্ষমতার বদল হয়েছে। সিঙ্গুর আন্দোলন বাম শাসন অবসানে বড় ভূমিকা পালন করেছিল। সেই সিঙ্গুর, এখনও সেখানে অনেক সমস্যার সমাধান হয়নি বলেই দাবি বিভিন্ন মহলের। সম্প্রতি মুম্বই স্টক এক্সচেঞ্জকে টাটা গোষ্ঠী বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, আর্বিট্রাল ট্রাইব্যুনাল নির্দেশ দিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের থেকে তারা সিঙ্গুর বাবদ ক্ষতিপূরণ পাবে ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা। যত দিন না তা আদায় হচ্ছে, তত দিন ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ১১ শতাংশ হারে রাজ্য সরকারকে সুদ দিতে হবে। পাশাপাশি দিতে হবে মামলার খরচ বাবদ ১ কোটি টাকা। সেই রায় নিয়েও সম্প্রতি রাজ্যজুড়ে তোলপাড় পড়ে যায়।

‘ভাতা নয়! শিল্প চাই’! দাবি তুলছে সিঙ্গুর

বাম আমলে টাটাদের গাড়ি কারখানার জন্য অধিগৃহীত ওই জমি শীর্ষ আদালতের নির্দেশে তৃণমূল সরকার ২০১৬-তে ফিরিয়ে দেওয়ার সময় তা ‘চাষযোগ্য’ করে দেওয়া হয় বলে দাবি করেছিল। কিন্তু ওই জমির অনেকাংশেই চাষ হয়নি। নিকাশি ব্যবস্থা না-থাকায় বর্ষার জল দীর্ঘদিন জমে থাকে বলে অভিযোগ চাষিদের। ফলে, তাঁরা চাষ করতে পারছেন না। জেলার কৃষি দফতরের একটি সূত্রে দাবি , সিঙ্গুরের ন্যানো কারখানার প্রকল্পের ৯৯৭ একর জমির মধ্যে কৃষিযোগ্য জমি প্রায় ৮৪৩ একর। এর মধ্যে প্রায় ৫০০ একর জমিতে একসময় চাষ শুরু হয়। ২৩০ একরে ধান চাষ হয়েছিল। ৫ একরে হয়েছিল আলু। এ ছাড়া ৭০ একরে তিল, ২৫ একরে কলাই, ২৫ একরে মুগ চাষ হয়েছিল। কিন্তু সে সব অতীত। বর্তমানে অনেক চাষিই উৎসাহ হারিয়েছেন। অনেকে জমির জন্য সমস্যায় পড়েছেন। সিঙ্গুর জুড়ে এখন শুধুই হতাশা।

অথচ এই সিঙ্গুরই রাজ্যের স্কুলের পাঠ্যবইতে স্থান পেয়েছে। এলাকার অনেকেরই আক্ষেপ, এই সবটা নিয়ে অন্তত তৃণমূল সরকারকে আরও যত্নবান হওয়া উচিত ছিল। হাইকোর্টের নির্দেশে এখন রাজ্য কী জানায় সে দিকেই তাকিয়ে সব মহল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *