Justice Abhijit Ganguly: ‘১২টার মধ্যে ইডি অফিসে…’, শাহনাওয়াজ কাণ্ড নিয়ে পর্যবেক্ষণ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের – justice abhijit ganguly raises questions about law and order situation in west bengal


পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে একপ্রস্থ সমালোচনা শোনা গিয়েছিল সকালেই। সন্ধ্যায় আরও রণং দেহি হলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গে আদৌ কোনও আইন শৃঙ্খলা আছে? প্রশ্ন তুললেন তিনি। এমনকি, তদন্ত আটকানোর জন্য কোনও ‘গ্রুপ’ কাজ করছে কিনা, সে ব্যাপারেও ইঙ্গিত দেন তিনি।

কী বললেন বিচারপতি?

সাংবাদিকদের একটি প্রশ্নের উত্তরে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলা আদৌ আছে বলে মনে হয়। গত কয়েকদিনে খবরের কাগজে আদালতের যে রিপোর্টগুলো দেখা যাচ্ছে, সেগুলি দেখলেই বোঝা যায়।’ বিচারপতি আরও জানান, ওখানে যাঁরা হামলা চালিয়েছিল, তাঁরা অর্গানাইজড ওয়েতে এই হামলা চালিয়েছিল। কাঁরা এই হামলা চালিয়েছিল সেই ব্যাপারে খতিয়ে দেখা উচিত বলেও দাবি করেন তিনি।

সন্দেশখালি নিয়ে মত

বিচারপতি বলেন, ‘আমি মনে করি, যাকে ইডি ধরতে গিয়েছিল তাঁর উচিত আজকে রাত বারোটার মধ্যে ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়া।’ এমনকি, দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, কোনও দুর্নীতির আবেদন হাইকোর্টে করা হলেই সেটা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। তিনি বলেন ‘সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার অধিকার সকল অথরিটির আছে। কিন্তু, আমি জানতে চাই, কেন সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া হচ্ছে। এত টাকা খরচ করে কেন সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া হয় তদন্তটাকে আটকানোর জন্য।’

চাকরি প্রার্থীদের উদ্দেশে এদিন বিচারপতি জানান, যাঁরা রাস্তায় বসে আছেন, তাঁদের আমি আগেও বলেছি তাঁরা আদালতে আসুন। অনেকেই আদালতে হাজির হয়ে চাকরি নিয়ে গিয়েছেন। তাঁরা যদি মনে করেন, তাঁদের অধিকার এবং যোগ্যতা আছে চাকরিটি পাওয়ার, তাহলে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। এর জন্য রাস্তায় বসে থাকার কোনও বিষয় নেই।

Justice Abhijit Ganguly : ‘গুলি-বন্দুক থাকে না? চালাতে পারেন না?’ সন্দেশখালি নিয়ে CBI -এর আইনজীবীকে প্রশ্ন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
প্রসঙ্গত, এদিন সকালেও সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে সরব হুয়েছিলেন তিনি। এমনকি, তিনি এও জানিয়েছিলেন, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতে রাজ্যপাল কেন চুপ করে বসে আছেন? তিনি কোনও পদক্ষেপ কেন নিচ্ছেন না, সেই বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। তিনি জানান, রাজ্যের এরকম আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দেখে রাজ্যপালের উচিত আইন ও সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *