সুজিত বসু এবং তাপস রায়ের রাজনৈতিক কেরিয়ার সুদীর্ঘ। এই দুই হেভিওয়েটের সম্পত্তির পরিমাণ কত? তা নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় হলফনামা দিয়ে এই তথ্য নিজেরাই জানিয়েছিলেন দুই হেভিওয়েট রাজনীতিবিদ। আর তাঁদের সেই হলফনামার উপর ভিত্তি করেই তথ্য তুলে ধরা হল।
হলফনামা মোতাবেক সুজিত বসুর সম্পত্তির পরিমাণ
হলফনামা মোতাবেক ২০১৯-২০ সালে সুজিত বসুর আয় ছিল ৫৩ লাখ ৬৫ হাজার ৩০০। ২০১৮-১৯ সালে সেই আয় ছিল ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ১০ টাকা। অন্যদিকে, তাঁর স্ত্রী স্বর্ণালী বসুর আয় ২০১৯-২০ সালে ছিল ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯৫০ এবং ২০১৮-১৯ সালে ছিল ৪ লাখ ২৭ হাজার ২৮০ টাকা।
২০২১ সালে নির্বাচনের জন্য জমা দেওয়া এই হলফনামা মোতাবেক সুজিত বসুর হাতে সেই সময় টাকা ছিল এক লাখ ৪৮ হাজার ১২ এবং স্ত্রীর হাতে টাকা ছিল ১ লাখ ৪৯০। তথ্য মোতাবেক দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল সুজিত বোসুর। সেখানে টাকা ছিল যথাক্রমে ৩৯ লাখ ৪৪ হাজার ৫৫৮, ২ লাখ ৩৭ হাজার ৫৭৪ এবং একটি ফিক্সড ডিপোজিট ছিল ১০ লাখের।
সুজিত বসুর হলফনামা
২০২১ সালের হলফনামা অনুযায়ী নিজের দুটি গাড়ি ছিল সুজিত বসুর। তার মধ্যে একটি গাড়ির দাম ১৩ লাখ ৮৫ হাজার ৭০০ এবং অপর গাড়িটির দাম ১৫ লাখ ৩ হাজার ১১১। পাশাপাশি তাঁর স্ত্রীরও একটি গাড়ি ছিল, যার দাম ১২ লাখ ৭৩ হাজার ৩৫১। সেই সময় সুজিত বসুর কাছে সোনা ছিল ১৭৯.৫ গ্রাম, যার তৎকালীন বাজার মূল্য ছিল চার লাখ ৭৫ হাজার ৩৮৯ এবং হিরে ছিল ৪৭৯.৫ গ্রাম, যার বাজার মূল্য ছিল ৩ লাখ ২৮ হাজার ৬২৫। অন্যদিকে, তাঁর স্ত্রীর কাছে সোনা ছিল ৪৭৭.২ গ্রাম, যার বাজার মূল্য ছিল ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৫৪৯ এবং হিরে ছিল ৪৮৮.২৫ গ্রাম, যা বাজার মূল্য ছিল ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৮১৪।
তাপস রায়ের সম্পত্তি
হলফনামা মোতাবেক বিধায়ক তাপস রায়ের ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে আয় ছিল চার লাখ ৯১ হাজার ৮৬০ এবং ২০১৮-১৯ সালে তাঁর আয় ছিল ছয় লাখ ৪৬ হাজার ৭৭০। নির্বাচনের সময় তাঁর হাতে ছিল ১৫ হাজার ৫০০ টাকা এবং তাঁর স্ত্রীর হাতে ছিল ২২ হাজার ৫০০ টাকা। তাঁর ফিক্সড ডিপোজিট ছিল ২৩ লাখ ২০ হাজার ৫৫৯ এবং স্ত্রী শুভ্রা রায়ের সেই সময় ফিক্সড ডিপোজিট ছিল ৮৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৩।