ইতিমধ্যেই থানার দ্বারস্থ হয়েছে ওই দুই পরিবার। ওই বধূর পরিবারের কথায়, যুবকের বয়স ২৩ বছর। তিনি মুম্বইয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। সেখানেই তাঁর ফোনে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রির সঙ্গে আলাপ হয়। ফোনে তাঁদের আলাপ জমে ওঠে। এরপর মুম্বই থেকে ফেরেন ওই যুবক এবং বালুরঘাটে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে শুরু করেন। এরপরেই তিনি ওই বধূকে জানান, বিয়েতে আগ্রহী তাঁর পরিবার। নিজের জন্য মেয়ে খোঁজার দায়িত্বও এই বধূকেই দিয়েছিলেন পেশায় রাজমিস্ত্রি ওই যুবক।
প্রথম প্রথম কয়েকজন মেয়ের ছবিও দেখিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, ওই যুবকের কাউকেই পছন্দ হয়নি। এরপর ধীরে ধীরে ঘটক মহিলার সঙ্গেই তাঁর আলাপ জমে ওঠে। শুধু তাই নয়, তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কও তৈরি হয়।
এদিকে ওই মহিলা ঘটক যে শুধু বিবাহিত ছিলেন তাই নয়, তাঁর সন্তানও রয়েছে। জানা গিয়েছে, গত রবিবার সন্তানকে ফেলে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান ওই বধূ। এরপর তাঁরা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু,বাধ সাধে দুই জনের পরিবরই। যদিও ওই বধূ গোঁ ধরেন কোনওভাবেই তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে সংসার করবেন না। প্রেমিকের সঙ্গে থাকতে তিনি। আর এতেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়।
জানা গিয়েছে, ওই গৃহবধূকে বিয়েও করে নেন পেশায় রাজমিস্ত্রি ওই যুবক। কিন্তু, দুই পরিবার এই সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেয়নি। তাঁরা থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। এদিকে মাকে কাছে না পেয়ে কেঁদেই চলেছেন ওই খুদে।
যদিও এখনও পর্যন্ত ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি থানায়, জানা গিয়েছে এমনটাই। তবে ওই মহিলা আপাতত তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে ফিরে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে, তাঁর স্বামী বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মরীয়া। প্রথম স্বামী বেঁচে থাকা অবস্থায় কোনও মহিলা যদি দ্বিতীয় বিয়ে করেন সেক্ষেত্রে তা আইনি বৈধতা পায় না, স্পষ্ট দাবি করেছেন তিনি।