ঠিক কী নিয়ে করা হয়েছিল আবেদন?
গত ১০ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আবেদনে জানিয়েছিলেন বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আদালতের বাইরে প্রকাশ্যে মন্তব্য করছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের কাছে তৃণমূল সাংসদ আর্জি জানান, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করুক সর্বোচ্চ আদালত। পাশাপাশি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা শোনার জন্য প্রধান বিচারপতি একটি বেঞ্চ গঠন করে দিক এবং সেই বেঞ্চই এই মামলা শুনুক, এই আবেদনও জানানো হয়েছিল।
যদিও তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট শেয়ার করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও পিটিশন খারিজ হয়নি। বিচারপতির মন্তব্য সংক্রান্ত মামলায় আগের রায়ের উপর একটি মডিফিকেশন অ্যাপ্লিকেশন দিয়েছিলেন অভিষেকের আইনজীবী। রেজিস্ট্রার জানিয়েছেন MA নয়, ফ্রেশ কজ অফ অ্যাকশনের পিটিশন দিতে। সেটা করা হচ্ছে। বিভ্রান্তি কাম্য নয়।’
এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সম্প্রতি সন্দেশখালিতে তদন্তের জন্য গিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। সেখানে গিয়ে তাঁরা আক্রান্ত হয়েছিলেন।
তিন জন ইডি আধিকারিক আহত হয়েছিলেন। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। সন্দেশখালির ঘটনার পর উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। পাশাপাশি কেন এখনও এই নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করছেন না রাজ্যপাল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
তাঁর এই মন্তব্যের পর রীতিমতো সরব হয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। শুধু তাই নয়, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ভেসে এসেছিল এই অভিযোগও। অন্যদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত কিছু মামলার শুনানি হচ্ছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসেও। তিনি ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংক্রান্ত একটি মামলার প্রেক্ষিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির হিসাব জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে এই মামলার জল কোন দিকে গড়ায় এখন তা দেখার।