এলাকার কিছু লোকজনের নজরে আসে পোস্টারগুলি। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় থানায়। সিপিআই মাওবাদী নামে পোস্টারগুলি দেওয়া হয়েছে। ২৭ ও ২৮ তারিখ বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে সেখানে। একই সঙ্গে একাধিক দাবিরও উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে। আদিবাসী ছাত্রীদের হস্টেলে ফেরানোর দাবির কথা যেমন ওই পোস্টারে আছে, তেমনই রয়েছে প্রাক্তন মাওবাদীদের চাকরির দাবিও।
এই ঘটনার ফলে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে পর্যটক থেকে শুরু করে স্থানীয় ব্যবসায়ী, সকলের মধ্যেই। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অনেকেরই আশঙ্কা, ২৭ ও ২৮ তারিখ মাওবাদীদের ডাকা এই বনধের প্রভাব পড়তে পারে পর্যটনে। অনেকদিন পর এই ধরণের পোস্টার ঘিরে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে এলাবাসীদের মধ্যে।
কয়েকদিন আগেই গ্রেফতার শীর্ষ মাও নেতা
প্রসঙ্গত, গত ১১ জানুয়ারি পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি থানার ঝাড়খন্ড সীমানা লাগোয়া চাউনিয়ার জঙ্গল থেকে শীর্ষ মাও নেতা সব্যসাচী গোস্বামী ওরফে কিশোরদাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সূত্রের খবর, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, এই রাজ্যের জঙ্গলমহলে নতুন করে সংগঠন চাঙ্গা করার কাজ করছে মাওবাদীরা। সব্যসাচীর গ্রেফতারির ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার মুরগুমা এলাকায় মাও নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। সাদা কাগজের উপর লাল কালিতে লেখা পোস্টারগুলিতে আদিবাসী হোস্টেল থেকে কোনও এক ছাত্রীকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে তাঁকে আবার হস্টেলে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানানো করেছে। এর পাশাপাশি অবিলম্বে প্রাক্তন মাওবাদীদের সকলের চাকরির দাবিও জানানো হয়েছে ওই পোস্টারে। এই দাবিগুলিকে সামনে রেখে ওই পোস্টারেই আগামী ২৭ এবং ২৮ জানুয়ারি বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে।