অসমের ছাগুলিয়া হয়ে কোচবিহারের বক্সিরহাটে সকাল ১০টা নাগাদ এসে পৌঁছবেন তিনি। অসম-বাংলা সীমানায় মঞ্চ বেঁধে তাঁকে বরণ করা হবে বৈরাতি নৃত্যে। গাওয়া হবে ভাওয়াইয়া গান। স্থানীয় রাজবংশী শিল্পীরা তারই প্রস্তুতি নিলেন বুধবার দিনভর।
বক্সিরহাটে সভামঞ্চে তাঁকে বরণ করবেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী৷ বুধবারই তিনি কোচবিহারে পৌঁছে গিয়েছেন। রাতে মঞ্চ পরিদর্শন করতে এসে সংবাদমাধ্যমকে অধীর বললেন, ‘যেখানেই রাহুল গান্ধী যাবেন, সেখানেই মানুষের ঢল নামবে।’
বক্সিরহাট থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার কোচবিহার শহরের দিকে এগোলেই জাতীয় সড়কের পাশে চামটা গ্রামে রাহুল গান্ধী ও তাঁর সঙ্গে আড়াইশো কংগ্রেস কর্মীর জন্য লাঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়েছে দুপুর ১২টা নাগাদ। তাতে থাকছে বোরোলি মাছ। প্রদেশ কংগ্রেস সদস্যা পিয়া রায় চৌধুরী বলেন, ‘রাহুল গান্ধীর এই ন্যায়যাত্রা ঘিরে কোচবিহারের কংগ্রেস কর্মীরা উচ্ছ্বসিত৷ তাঁরা আপ্যায়নের কোনও ত্রুটি রাখতে চান না৷ তাঁকে উত্তরবঙ্গের তোর্সা নদীর সুস্বাদু ও বিখ্যাত বোরোলি মাছ খাওয়াতে চান কর্মীরা। রাহুল গান্ধীর ডায়েট চার্ট মাথায় রেখে লাঞ্চের মেনু ঠিক করা হয়েছে।’
বক্সিরহাট থেকে চামটা নিজের ভ্যানেই আসবেন রাহুল গান্ধী। লাঞ্চ ও বিশ্রাম করে দু’ঘণ্টা পরে বেলা দুটো নাগাদ ফের জাতীয় সড়ক ধরে ভ্যানেই কোচবিহার শহরের দিকে রওনা হবেন তিনি। মা ভবানী মোড় থেকে কোচবিহার শহর হয়ে খাগড়াবাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তা পদযাত্রা করার কথা তাঁর। এরপরে বিকেলে তিনি তাঁর ভ্যানে চেপে প্রায় ১৯ কিলোমিটার যাবেন ঘোকসাডাঙার উনিশবিশা গ্রামে।
সেখানে সন্ধ্যায় বিশ্রাম নেবেন তিনি। এরপরে ফের ভ্যানে চেপে ১৪ কিলোমিটার গিয়ে ফালাকাটা পৌঁছে টাউন ক্লাবের মাঠে রাত কাটাবেন। রাহুলের এই কর্মসূচি ঘিরে তিন দিন আগে থেকে জেলা পার্টি অফিসে ভিড় করেছেন কোচবিহারের কংগ্রেস কর্মীরা। ‘ন্যায়যাত্রা’র প্রচারে কোচবিহার শহর জুড়ে ফেস্টুন। রাহুলকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ‘রাজার শহর’।