Gangasagar Mela : সাগরমেলার সুনাম ঢাকা পড়ছে প্লাস্টিক বর্জ্য়ে – gangasagar whole area ​​is covered with packet of polythene bags


শিলাদিত্য সাহা, গঙ্গাসাগর

পুণ্যস্নান শেষ হয়েছে অন্তত দু’সপ্তাহ আগে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কোটি দেড়েক পুণ্যার্থীও ফিরে গিয়েছেন ঘরে। কিন্তু সাগরমেলায় তীর্থে এসে তাঁদের ফেলে যাওয়া লক্ষ লক্ষ প্লাস্টিকের প্যাকেট, পলিথিন ব্যাগে এখনও কার্যত নরক হয়ে পড়ে রয়েছে গোটা এলাকা।

কপিলমুনির আশ্রম চত্বরটি রাজ্য সরকারের উদ্যোগে নতুন করে সাজানোর পরে সেটি সবারই চোখ টানে। কিন্তু তার ঠিক উল্টোদিকে, সাগরতটের পর থেকে ডালা আর্কেড পর্যন্ত তৈরি হওয়া বিশাল ক্যাম্প এলাকাটি প্লাস্টিক এবং অন্যান্য বর্জ্যে ভরে রয়েছে এখনও। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে আশপাশের এলাকাতেও। সাগরের মতো পরিবেশগত ‘সেনসিটিভ’ এলাকায় সাগরমেলার বর্জ্য সাফাই করতে এমন অবহেলা কেন, প্রশ্ন তুলছেন পরিবেশবিদরা।

তাঁদের মতে, প্লাস্টিকের মতো নন-বায়োডিগ্রেডেবল পদার্থ বেশিদিন ফেলে রাখলে তা সমুদ্রে মিশে সেখানকার বাস্তুতন্ত্রের চরম ক্ষতি করতে পারে। এলাকা ঘুরে চোখে পড়ল, শুধু প্লাস্টিক বর্জ্য নয়। অস্থায়ী ক্যাম্পের পাশে পরিত্যক্ত কাঁচা শৌচাগারগুলিও প্রবল দূষণ ছড়াচ্ছে গোটা চত্বরে। পরিবেশবিদদের একাংশের দাবি, রাজ্য সরকার যখন সাগরমেলা আয়োজনে কোনও খামতি রাখতে রাজি নয়, তখন মেলাকে পরিবেশবান্ধব করার দিকেও নজর দেওয়া হোক।

পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের কথায়, ‘আন্দামান যেমন ইকো-সেনসিটিভ জ়োন, সাগরমেলাকেও তেমন করা যায়। কেউ তো এখানে বাসে-গাড়িতে আসছে না। জলপথ পেরিয়েই আসতে হচ্ছে। প্লাস্টিক বা পলিথিন রুখতে মেলার প্রতিটি এন্ট্রি পয়েন্টকে সরকার চেক পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করুক না। তাতে মেলাও হবে, আবার পরিবেশের সঙ্গে খেলাও বন্ধ হবে।’

সমাজে দূষণের প্রভাব নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা পরিবেশকর্মী কঙ্কনা দাস জানাচ্ছেন, মাঠ জুড়ে পড়ে থাকা এই প্লাস্টিকের স্তূপ মেরিন লাইফের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাঁর কথায়, ‘এর আগে দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরাম সাগর ও সংলগ্ন এলাকার দূষণ নিয়ে পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। সাগরমেলা যেখানে হয়, সেটি কোস্টাল রেগুলেশন জ়োন ১-এর মধ্যে পড়ে না। কিন্তু পাশেই যেহেতু বঙ্গোপসাগর, তাই ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের কড়া বিধি মেনেই সেখানে যে কোনও আয়োজন হওয়ার কথা।’

কেন প্লাস্টিক বর্জ্যে ভরে রয়েছে সাগরমেলা চত্বর?

সাগরের বিধায়ক তথা মেলা ব্যবস্থাপনায় যুক্তদের অন্যতম, সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরার দাবি, মেলাপ্রাঙ্গণ এখনও নোংরা হয়ে রয়েছে, এ খবর তাঁর জানা ছিল না। দ্রুত গোটা এলাকা সাফাইয়ের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে, ভবিষ্যতে সাগরমেলাকে আরও পরিবেশবান্ধব করার প্রস্তাবেও আপত্তি নেই তাঁর। বঙ্কিমের কথায়, ‘পরিবেশবিদদের প্রস্তাব ভালো। আমরা যদি লট ৮ আর নামখানার এন্ট্রি পয়েন্টেই পুণ্যার্থীদের থেকে প্লাস্টিক নিয়ে নিই এবং পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ক্যারিব্যাগ দিই, এই সমস্যা মিটতে পারে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *