Murshidabad Murder Case Update : সন্তানদের বিক্রির চেষ্টা? ডোমকলকাণ্ডে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য – murshidabad domkal murder case update many allegations against rintu shaikh in earlier also


ডোমকলে শিশুকে আছড়ে মারার ঘটনায় উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, এর আগে নিজের বড় মেয়েকে বিক্রির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে রিন্টু শেখের বিরুদ্ধে। এমনকী ছোট মেয়েকেও বিক্রি করার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। আবার নিজের বড় ও এবং মেজ মেয়েকেও মারধরের অভিযোগ উঠেছে রিন্টু শেখের বিরুদ্ধে। যদিও শিশু বিক্রির চেষ্টার কোনও দিক এখনও পর্যন্ত তদন্ত পাওয়া যায়নি বলে জানাচ্ছে পুলিশ।

কন্যা সন্তানের জন্ম হলে সেটি যে আজও সমাজের একাংশের মানুষ ভালোভাবে নেয় না তা আরও একবার প্রমাণিত হল ডোমকল থানার ভাতশালার ঘটনায়। চার মাসের কন্যাসন্তানকে বাবা মায়ের আছড়ে মারার অভিযোগের ঘটনায় সামাজিক সচেতনতা নিয়ে নতুন করে উঠে গেল প্রশ্ন। অভিযুক্ত বাবা মা-কে গ্রেফতার করা হলেও, জেলা শিশু সুরক্ষা দফতরের দিকেই আঙুল তুলেছেন কেউ কেউ। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, রাজ্য কেন্দ্র মহিলাদের উন্নয়নে একাধিক প্রকল্প চালুর পাশাপাশি মহিলা জন্য সংরক্ষণ বিল আনলেও সমাজের একাংশ আজও একই তিমিরের ডুবে রয়েছে। কন্যাসন্তানকে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না। যদিও জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক অর্জুন দত্ত বলেন, ‘শিশু সুরক্ষার বিষয়ে প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন কাজ করছে। তার সুফল হিসাবে এই জেলায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে মেয়েদের সংখ্যা বেড়েছে, ভাতশালার ঘটনা বিচ্ছিন্ন।’

দুটি মেয়ের পর ফের কন্যাসন্তানের জন্ম হওয়ায় চার মাসের শিশু কন্যাকে আছড়ে মারার ঘটনায় রবিবার রাতেই বাবা মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটল, তার নেপথ্যের কারণ খোঁজার চেষ্টা কি আদৌ প্রশাসন করেছে? শিশু মৃত্যুর পর প্রশ্ন উঠেছে এমনই। ধৃত রিন্টু শেখের সঙ্গে সাত বছর আগে বিয়ে হয় কামুড়দিয়ারের বাসিন্দা বেলুয়ারা বিবির। দম্পতির চার বছর ও তিন বছরের আরও দু’টি কন্যা সন্তান রয়েছে। দুই কন্যা সন্তানকে বেধড়ক মারধর করত রিন্টু। বড় মেয়ের হাতও ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ। রিন্টুর দুই কন্যাসন্তানকে বর্তমা লালন পালন করছেন তার শাশুড়ি রঙ্গিলা বিবি। রিন্টু পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে কেরলে ছিল। দিন সাতেক আগে বাড়ি ফিরে আসে। মাস চারেক আগে ফের কন্যাসন্তানের জন্ম দেয় বেলুয়ারা বিবি।

রবিবার দুপুরে স্বামী স্ত্রী মিলে চার মাসের ওই শিশুটিকে খুন করে বলে অভিযোগ। খুনের পর স্বামী স্ত্রী পরস্পরের উপর খুনের দায় চাপিয়েছে। যদিও রিন্টু শেখের বাবা দাবির শেখের অভিযোগ, দু’জনে মিলেই পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে। দাবির শেখই ছেলে বউমার নামে লিখিত অভিযোগ করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে রিন্টু শেখ মাদকাশক্ত। তার নামে অতীতেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বার কয়েক গ্রেফতারও হয়েছে সে। পুলিশের ভয়ে কেরল পালিয়েছিল। ঘটনায় এসডিপিও শুভম বাজাজ বলেন, ‘এখন তদন্ত খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। শিশুটির ময়নাতদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তে আইও নিজে গিয়েছেন।’ একইসঙ্গে সন্তান বিক্রির কোনও চেষ্টা হয়েছিল কি না সেই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে এসডিপিও বলেন, ‘এমন কোনও খবর সেই।’

অভাবের সংসারে পরপর তিন কন্যাসন্তানের জন্মের কারণেই কী চারমাসের খাদিজা খাতুনকে পৃথিবীতে চলে যেতে হল? উঠছে এমনও প্রশ্ন। ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় সচেতনতার অভাবে হামেশাই ভ্রূণ হত্যার অভিযোগ ওঠে। সীমান্ত এলাকায় বাল্যবিবাহ রুখতে পারেনি প্রশাসন। ফলে খাদিজা খুনের ঘটনায় পরোক্ষভাবে অভিযোগের নিশানায় রয়েছে জেলা শিশু সুরক্ষা দফতরও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *