Sandeshkhali Timeline : ৫ জানুয়ারি ED-র উপর হামলা! সন্দেশখালির ‘বাদশা’-র জীবনের ৫৫ দিন, কী ঘটল? রইল টাইমলাইন – sandeshkhali what happened there know details incident through timeline in context of sheikh sahajan arrest


এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে সন্দেশখালি। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন শেখ শাহজাহান। আপাতত তিনি রয়েছেন বসিরহাট মহকুমা আদালতের লকআপে। তাঁকে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো নাগাদ পেশ করা হবে আদালতে। ৫ জানুয়ারি থেকে তাঁর কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। অবশেষে ৫৫ দিনের মাথায় তিনি গ্রেফতার হলেন।সময় ও সন্দেশখালি
উত্তর ২৪ পরগনার প্রত্যন্ত এলাকা হঠাৎ শিরোনামে। ঠিক কী ঘটেছিল সন্দেশখালিতে? ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে সময় ও ঘটনা একছকে বাঁধল এই সময় ডিজিটাল
৫ জানুয়ারি: সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে যায় ED-র একটি দল। কিন্তু, একাধিকবার ডাকাডাকি করলেও কেউ বাইরে বার হননি। এরপরেই তালা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন তদন্তকারীরা। সেই মোতাবেক CRPF তালা ভাঙতে গেলে স্থানীয়দের হাতে আক্রান্ত হন ED আধিকারিকরা, অভিযোগ ওঠে এমনটাই। এরপর থেকেই বেপাত্তা হন এই নেতা।

৬ জানুয়ারি:
এদিন দিনভর সন্দেশখালি নিয়ে তপ্ত থাকে রাজ্য রাজনৈতিক মহল। FIR দায়ের করে ED। উত্তর ২৪ পরগনার ন্যাজাট থানায় FIR দায়ের করা হয়। অন্যদিকে, ED-র বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ দায়ের করেন শেখ শাহজাহানের এক কর্মী।

৬ জানুয়ারি অডিয়ো বার্তা শাহজাহানের:
এদিন অন্তরালে থেকেও বার্তা দিয়েছিলেন শেখ শাহজাহান। তিনি বলেছিলেন, ‘ইডি-সিবিআইকে ভয়ের কিছু নেই’।

১০ জানুয়ারি: সন্দেশখালিকাণ্ডে হাইকোর্টে মামলা ইডির। এরপর বিভিন্ন সময় তপ্ত হয়েছে সন্দশখালি। উত্তম সর্দার, শিবু হাজরা, নিরাপদ সর্দারদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে।

২৭ জানুয়ারি ফেসবুক পোস্ট ডিলিট শাহজাহানের:
২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেসবুক পোস্ট শেখ শাহজাহানের। যা মোছা হয় ২৭ জানুয়ারি।

১১ ফেব্রুয়ারি:
উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর আস্ফালনের পর তাঁকে ৬ বছর দল থেকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল। সেই দিনই তাঁকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। গ্রেফতার হন সন্দেশখালির প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দার।

১৩ ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালির ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা নেয় কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু তাই নয়, বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায় স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, সন্দেশখালিতে আদিবাসীদের জমি দখল এবং মহিলাদের মাথায় বন্দুকের নল ঠেকিয়ে ধর্ষণের মতো অভিযোগ এই নিয়ে আদালত বিচলিত।

১৭ ফেব্রুয়ারি:
১৭ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয় শিবু হাজরাকে। তাঁর বিরুদ্ধে গোপন জবানবন্দি দিয়েছিলেন ‘নির্যাতিতা’।

২০ ফেব্রুয়ারি:
সন্দেশখালির সঙ্গে মণিপুরের তুলনা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ সুপ্রিম কোর্টের। বিচারপতি বিভি নাগরত্ন ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মসিহর বেঞ্চ একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে বলেন, ‘বারবার মণিপুরের সঙ্গে সন্দেশখালির তুলনা টানবেন না।’

২১ ফেব্রুয়ারি:
এদিন সন্দেশখালিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা শিখ IPS অফিসারকে ‘খলিস্তানি’ বলা নিয়ে বিতর্ক। অভিযোগ ওঠে শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে এই মন্তব্য করেন। অভিযোগ অস্বীকার শুভেন্দুর।

২৩ জানুয়ারি:
সন্দেশখালিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল যায়। কথা বলেন এলাকাবাসীর সঙ্গে।

Calcutta High Court Chief Justice: ‘৪৩টি মামলা আছে, ১০ বছর ব্যস্ত থাকতে হবে’, শাহজাহানের আইনজীবীর উদ্দেশে মন্তব্য প্রধান বিচারপতির

২৫ ফেব্রুয়ারি:
এদিন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘হাইকোর্ট রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের হাত বেঁধে দিলে গ্রেফতার কী ভাবে হবে? শেখ শাহজাহানকে তৃণমূল গার্ড করছে না। হাত পা বেঁধে দিয়েছে হাইকোর্ট। মানুষের সঙ্গে অন্যায় করলে কাউকে রেয়াত নয়।’

Shahjahan 10 Days Custody: ১০ দিনের পুলিশি হেফাজত শেখ শাহজাহানের

২৬ ফেব্রুয়ারি: শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে কোনও বাধা নেই: হাইকোর্ট

২৮ ফেব্রুয়ারি:
শেখ শাহজাহানকে যে কোনও এজেন্সি গ্রেফতার করতে পারে, স্পষ্ট নির্দেশ হাইকোর্টের। অর্থাৎ ED-CBI-এর তাঁকে গ্রেফতারির ক্ষেত্রে কোনও বাধা ছিল না।

২৯ ফেব্রুয়ারি: সাতসকালে শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারির খবর সামনে আসে। এদিন ১০ দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *