Bagdogra Airport: উত্তর প্রদেশের তিন যুবক কি এটিএম প্রতারক, শুরু তদন্ত – police arrest uttar pradesh three youths from bagdogra airport with lots of atm cards


এই সময়, শিলিগুড়ি: ব্যাগভর্তি এটিএম কার্ড সমেত বাগডোগরা বিমানবন্দরে ধৃত উত্তর প্রদেশের তিন যুবক কি আদতে প্রতারক? নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে রহস্য উন্মোচন করতে চাইছে পুলিশ। গত বুধবার বিকেলে এয়ার ইন্ডিয়ার দিল্লিগামী বিমানে চড়ার আগে ইরফান আহমেদ, মহম্মদ রাজা এবং গৌরব সারিয়া বাগডোগরা বিমান বন্দরে সিকিউরিটি চেকিংয়ের সময়ে ধরা পড়েন। ধৃতেরা বিহারের পূর্ণিয়া থেকে বিমান ধরতে বাগডোগরায় এসেছিলেন।পূর্ণিয়ায় তাঁরা একটি বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন। তাঁদের বাড়ি উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে। কিন্তু কেন ১২৯টি এটিএম কার্ড নিয়ে সফর করছেন তার কোনও সন্তোষজনক জবাব ওই তিন যুবক বিমান বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ জওয়ানদের দিতে পারেননি। সেই কারণে সেদিনই সন্ধ্যায় তিন যুবককে বাগডোগরা থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার বাগডোগরা থানা ওই তিন জনকে ভারতীয় দন্ডবিধির ৪১১, ৪১৪ এবং ৩৪ ধারায় অভিযুক্ত করে শিলিগুড়ি আদালতে হাজির করে নিজেদের হেফাজতে চায়। আদালত ধৃতদের পাঁচ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার অনুমতি দেয়। প্রাথমিক ভাবে ধৃতেরা এটিএম প্রতারক বলে মনে হলেও পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেহেতু পূর্ণিয়া থেকেই ওই তিন যুবক বাগডোগরা বিমান বন্দরে এসেছিলেন, তাই সেখানকার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এমনকী, সম্প্রতি পূর্ণিয়ায় এটিএম জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে কি না, সেই তথ্যও চাওয়া হয়েছে।

একই ভাবে মালিকানা যাচাই করতে ১২৯টি এটিএমের ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, ‘ধৃতেরা এটিএম প্রতারক বলেই মনে হচ্ছে। এরা বিহার থেকে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে প্রতারণার কাজ করে থাকেন। তবে তদন্ত সম্পূর্ণ হলেই ধৃতদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য মিলবে।’ এটিএম জালিয়াতির ঘটনা এর আগেও ঘটেছে শিলিগুড়িতে। বছর দেড়েক আগে বাগডোগরাতেই একটি গাড়ি সহ কয়েকজন যুবককে ধরা হয়। গাড়িতে ‘এটিএম সার্ভিস’ বোর্ড লাগিয়ে ওই যুবকেরা বাগডোগরার কোনও না কোনও এটিএমের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতেন।

তার পরে এটিএম থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে প্রৌঢ়, অদক্ষ লোকেদের প্রতারণা করতেন বলে পুলিশের দাবি। তাঁদের কাছ থেকেও বেশ কিছু এটিএম কার্ড উদ্ধার হয়। ২০২২ সালে ফাঁসিদেওয়া থানার হাঁসখোয়া থেকে এটিএম জালিয়াতির অভিযোগে দিল্লির তিন এবং বিহারের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। তারও কয়েক মাস আগে নিউ জলপাইগুড়ি থানা এটিএম প্রতারক সন্দেহ করে এক ব্যক্তিকে আটক করে। ধৃতকে জেরা করে কয়েক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শেষ পর্যন্ত শিলিগুড়ির চম্পাসারি থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতের হেফাজত থেকে সাড়ে চারশো এটিএম কার্ড উদ্ধার হয়। বাগডোগরা বিমান বন্দরে ধৃতেরা এমনই প্রতারক কি না সেটাই যাচাই চলছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *