উত্তরবঙ্গের বিকাশের জন্য বিজেপির নির্দিষ্ট রুট ম্যাপ রয়েছে বলেও জানান মোদী। চা বাগানগুলো থেকে উৎপাদন বৃদ্ধি, শ্রমিকদের নানা সুবিধা প্রদান থেকে শুরু করে গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ব্যাপারে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে বলে দাবি করেন তিনি।
রাজ্যের লাগাতার প্রচার শুরু করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার শিলিগুড়িতে জনসভায় উপস্থিত ছিলেন তিনি। এর আগে হুগলি জেলার আরামবাগ, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসতে এবং নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে জনসভা করেন তিনি। তিনটি সভা থেকেই রাজ্যে একাধিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন তিনি। এদিনের সভা থেকেও রাজ্যের নানা দুর্নীতি নিয়ে সুর চড়ান মোদী। তাঁর নিশানায় ছিল রাজ্যের শাসক দল।
উল্লেখ্য, গোর্খাদের জন্য স্থায়ী সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে দীর্ঘকালীন আর্জি জানিয়ে আসছেন পাহাড়বাসীরা। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সেই আশ্বাস পেয়ে গত তিনবার লোকসভা নির্বাচনে দার্জিলিং কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থীকে জয়ী করেছেন পাহাড়ের মানুষ। লাগাতার জয়ের পথ প্রশস্ত করা হলেও গোর্খাদের স্থায়ী সমস্যার সমাধান করা হয়নি বলে কিছুদিন আগেই জানিয়েছিলেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি বিধায়ক নীরজ জিম্মা।
লোকসভা নির্বাচনের আগে গোর্খাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হতে পারে। এরকমটাই আশঙ্কা করছেন পাহাড়ের বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার জন্য কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পাঠান বিধায়ক। তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘ সময় ধরেই গোর্খাদের স্থায়ী সমাধানের ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না কেন্দ্রীয় সরকার। সেই কারণেই, এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠানো হল। বিষয়টি বিবেচনা করেই এদিন মোদী বলেন, ‘আপনাদের সমস্যার কথা আমরা মাথায় রেখেছি। সেটা সমাধানের খুব কাছে চলে এসেছি আমরা।’