তবে, মুম্বই-আমেদাবাদ রুট দিয়ে বুলেট ট্রেন চলতে শুরু করলেও প্রস্তাবিত হাইস্পিড ট্রেন রুটগুলোর মধ্যে দিল্লি-হাওড়া রুটই যে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে, সেই বিষয়ে একমত রেলের প্রযুক্তিবিদরা। তাঁরা বলছেন, ‘মুম্বই-আমেদাবাদ এবং দিল্লি-হাওড়া ছাড়াও দিল্লি-অমৃতসর, দিল্লি-মুম্বই এবং মুম্বই-চেন্নাই রুটে বুলেট ট্রেন চালানোর বাণিজ্যিক সম্ভাবনা সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা পড়েছে। এতগুলো রুটের মধ্যে দীর্ঘতম হলো ১৪৭৪ কিলোমিটার দীর্ঘ দিল্লি-হাওড়া রুট। এই কারণেই এই রুট সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং।’
রেলের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চললে কলকাতা থেকে বুলেট ট্রেনে দিল্লি পৌঁছতে মাত্র ছ’ঘণ্টা সময় লাগবে। দিল্লি থেকে হাওড়া আসার পথে কোন কোন জায়গায় বুলেট ট্রেনের স্টপেজ দেওয়া যেতে পারে, সেই বিষয়েও প্রাথমিক একটা খসড়া তৈরি করেছে হাইস্পিড রেল কর্পোরেশন। দিল্লি ছাড়ার পর এবং হাওড়া ঢোকার আগে বুলেট ট্রেন গ্রেটার নয়ডা, আলিগড়, লখনউ, সুলতানপুর, জয়পুর, বেনারস, বক্সার, পাটনা, ধানবাদ, আসানসোল এবং বর্ধমান স্টেশনে থামতে পারে। প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ এই রুটে বুলেট ট্রেন চালাতে এক লক্ষ কোটি টাকার কাছাকাছি খরচ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।