এই সময়: আর সেমি হাইস্পিড নয়, এবার নজর পুরোদস্তুর হাইস্পিড ট্রেনের দিকে। আক্ষরিক অর্থেই ‘চোখের নিমেষে’ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছতে দেশের কোন কোন রুটে বুলেট ট্রেন চালানো সম্ভব, তার হিসেব শুরু করে দিয়েছে রেল বোর্ড। এর জন্য তৈরি হয়েছে হাইস্পিড রেল কর্পোরেশন (এইচআরএসসি)। দেশের প্রথম বুলেট ট্রেন যে মুম্বই-আমেদাবাদ রুটে চলতে শুরু করবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে অনেকদিন আগেই।মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের মধ্যে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলতে শুরু করার পর দেশের অন্য যে রুটগুলোয় বুলেট ট্রেন চালানো যেতে পারে, সেই সংক্রান্ত রিপোর্টও জমা পড়েছে। তালিকায় রয়েছে হাওড়া-দিল্লি রুটও। ভারতীয় রেলের কর্তারা জানাচ্ছেন, ৫০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ মুম্বই-আমেদাবাদ রুটে বুলেট ট্রেনের গড় গতি থাকবে ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার। এই রুটে ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠবে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বুলেট ট্রেন মুম্বই থেকে ৭৫০ জন যাত্রীকে নিয়ে আহমেদাবাদ পৌঁছে যাবে — এমনটাই পরিকল্পনা ভারতীয় রেলের।

চলতি মাসেই 6টি বুলেট ট্রেন কিনছে দেশ, শীঘ্রই চুক্তি হবে জাপানের সঙ্গে!

তবে, মুম্বই-আমেদাবাদ রুট দিয়ে বুলেট ট্রেন চলতে শুরু করলেও প্রস্তাবিত হাইস্পিড ট্রেন রুটগুলোর মধ্যে দিল্লি-হাওড়া রুটই যে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে, সেই বিষয়ে একমত রেলের প্রযুক্তিবিদরা। তাঁরা বলছেন, ‘মুম্বই-আমেদাবাদ এবং দিল্লি-হাওড়া ছাড়াও দিল্লি-অমৃতসর, দিল্লি-মুম্বই এবং মুম্বই-চেন্নাই রুটে বুলেট ট্রেন চালানোর বাণিজ্যিক সম্ভাবনা সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা পড়েছে। এতগুলো রুটের মধ্যে দীর্ঘতম হলো ১৪৭৪ কিলোমিটার দীর্ঘ দিল্লি-হাওড়া রুট। এই কারণেই এই রুট সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং।’

রেলের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চললে কলকাতা থেকে বুলেট ট্রেনে দিল্লি পৌঁছতে মাত্র ছ’ঘণ্টা সময় লাগবে। দিল্লি থেকে হাওড়া আসার পথে কোন কোন জায়গায় বুলেট ট্রেনের স্টপেজ দেওয়া যেতে পারে, সেই বিষয়েও প্রাথমিক একটা খসড়া তৈরি করেছে হাইস্পিড রেল কর্পোরেশন। দিল্লি ছাড়ার পর এবং হাওড়া ঢোকার আগে বুলেট ট্রেন গ্রেটার নয়ডা, আলিগড়, লখনউ, সুলতানপুর, জয়পুর, বেনারস, বক্সার, পাটনা, ধানবাদ, আসানসোল এবং বর্ধমান স্টেশনে থামতে পারে। প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ এই রুটে বুলেট ট্রেন চালাতে এক লক্ষ কোটি টাকার কাছাকাছি খরচ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *