রাজ্যপাল জানান, আহত ব্যক্তিদের সঙ্গেও কথা হাসপাতালে গিয়ে কথা বলব। তাঁদের সাহায্য করব। সবার সঙ্গে হাসপাতালে কথা বলব। জনগণ এখন বুঝে গিয়েছে, তারা একত্রিত আছে। রাজ্যপাল বলেন, ‘দুই মন্ত্রীকে বার্তা যা দেওয়ার তা সাধারণ মানুষ দিয়ে দিয়েছেন। লড়াই লড়ব, অবশ্যই লড়ব। রবিগুরু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন চিত্ত যেথা ভয় শুন্য উচ্চ যেথা শির।’
দিনহাটায় দুই মন্ত্রীর বিবাদের বিষয় নিয়ে রাজ্যপাল আগেই জানিয়েছিলেন, আমি নির্বাচন কমিশনের কাজে হস্তক্ষেপ করব না। আমি ডিজিপির কাছে রিপোর্ট চেয়েছি, রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। আমরা নির্বাচনের সময় হিংসা হতে দিতে পারি না। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় ওখানে হিংসা হয়েছিল। এটা আবার ঘটতে দেওয়া যায় না, সেই প্রতিশ্রুতি রাখা উচিত। নতুন করে যাতে আর অশান্তি না ছড়ায় সেই বার্তা দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে কোচবিহার জেলার দিনহাটায়। সেখানে একটি বাড়িতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর জন্মদিনের অনুষ্ঠান চলছিল। সেই রাস্তার সামনে দিয়েই যাচ্ছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়। নিশীথের অনুগামীরা অভিযোগ করেন, তৃণমূল কর্মীরা তাঁর কনভয় ঘিরে ধরে আক্রমণ চালায়। পালটা, তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, নিশীথ প্রামাণিকের দেহরক্ষীরা এবং বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের কর্মীদের উপর এসে চড়াও হয়। একাধিক তৃণমূল কর্মীকে মারধর করা হয়। তাঁদেরকে পরে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ, ২৪ ঘণ্টার জন্য বনধ ডাকা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে।