এই সময়: ১৭৪ বছরের পুরসভা। শহরের জনসংখ্যা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। তার উপরে রয়েছে হাজার হাজার পর্যটকের চাপ। কিন্তু সেই পুরসভার নির্দিষ্ট কোনও ডাম্পিং গ্রাউন্ডই নেই। শহর লাগোয়া গ্রামে পাহাড়ের ঢালে ডাঁই করে ফেলে রাখা হয় দার্জিলিং শহরের টন টন আবর্জনা। সেই জঞ্জাল গিয়ে মিশছে পাহাড়ি ঝোরা বা ঝর্নার জলে। পড়ছে নদীতেও। পানীয় জলে মিশছে বিষ। পাশাপাশি প্লাস্টিকের জন্য বাড়ছে ধসও। সম্প্রতি একটি ভাগাড়ে আগুন লেগে গিয়েছিল।সেই আগুন পুরোপুরি নিভতে সময় নিয়েছিল প্রায় ২৫-২০ দিন। এই বিষয় নিয়ে মামলা হলো জাতীয় পরিবেশ আদালতে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আদালত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গড়েছে। দার্জিলিং পুরসভার পাশাপাশি হলফনামা তলব করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের কাছ থেকেও। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্ট এবং হলফনামা খতিয়ে দেখে পরবর্তী নির্দেশ দেবে আদালত।
দার্জিলিং পুরসভার বাসিন্দার সংখ্যা দু’লক্ষেরও বেশি। তার উপরে রয়েছে হাজার হাজার পর্যযকের চাপ। সম্প্রতি শহর লাগোয়া অমরজ্যোতি গ্রামে পাহাড়ের ঢালে ভাগাড়ে আগুন লাগার পরে এলাকার বাসিন্দারা পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তকে বিষয়টি জানান। তিনিই পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ হন। সুভাষের অভিযোগ, রোজ শহরের দেড় হাজার টন জঞ্জাল অমরজ্যোতি গ্রামে ডাঁই করা হয়।
দার্জিলিং পুরসভার বাসিন্দার সংখ্যা দু’লক্ষেরও বেশি। তার উপরে রয়েছে হাজার হাজার পর্যযকের চাপ। সম্প্রতি শহর লাগোয়া অমরজ্যোতি গ্রামে পাহাড়ের ঢালে ভাগাড়ে আগুন লাগার পরে এলাকার বাসিন্দারা পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তকে বিষয়টি জানান। তিনিই পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ হন। সুভাষের অভিযোগ, রোজ শহরের দেড় হাজার টন জঞ্জাল অমরজ্যোতি গ্রামে ডাঁই করা হয়।
সেখান থেকে মিথেন গ্যাস তৈরি হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে এলাকায়। এমনিতেই পাহাড়ের বাতাস ভারী। তার উপরে ক্ষতিকর গ্যাসের প্রভাবে এলাকার বাসিন্দারা অসুস্থ হচ্ছেন। মামলায় বলা হয়েছে, পাহাড়ের ঢালে ডাঁই করা জঞ্জাল গড়িয়ে গিয়ে মিশছে আশপাশের ঝর্নার জলে ও নদীতেও। সব মিলিয়ে জঞ্জালের বিষ মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে।
সোমবার মামলাটির শুনানিতে বিচারপতি বি অমিত স্থালেকর এবং বিশেষজ্ঞ সদস্য অরুণকুমার বর্মা নির্দেশ দিয়েছেন, এই ঘটনায় দার্জিলিং পুরসভা-সহ সব পক্ষকেই চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে হবে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের একজন সিনিয়র সায়েন্টিস্ট, পুর ও নগরোন্নয় দপ্তরের একজন সিনিয়র অফিসার এবং দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক অথবা অতিরিক্ত জেলাশাসককে নিয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিও গঠন করেছে আদালত।