Yusuf Pathan,মাঠ থেকে দূরে, জিমও হচ্ছে না, ভোটের প্রচারের ধকল কী ভাবে সামলাচ্ছেন ইউসুফ? – baharampur lok sabha tmc candidate yusuf pathan says about his fitness secrets during election campaign


২০০৮ সালের আইপিএল-এ একুশ বলে অর্ধ শতরান করাগ রেকর্ড রয়েছে ইউসুফ পাঠানের ঝুলিতে। কে কে আর-এ বাঙালির আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এখন আইপিএল ছেড়েছেন। কিন্তু বাঙালিকে ছাড়েননি। সেই ইউসুফ পাঠান এবার আইপিএল-এর বাইশ গজ থেকে নজর ঘুরিয়ে রাজনীতির ‘কুরুক্ষেত্র’-তে লক্ষ্যভেদে নেমেছেন। সামনে প্রতিদ্বন্দ্বী বহরমপুর লোকসভার পাঁচবারের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। বিজেপির প্রতীকে লড়ছেন চিকিৎসক নির্মল সাহা। অধীর চৌধুরীর ঘূর্ণি পিচে কীভাবে ফিল্ডিং সাজাচ্ছেন?উত্তরে এক মুখ হাসি আর প্রত্যয় নিয়ে বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী অপূর্ব সরকার, হুমায়ুন কবীর, আবু তাহের খানকে দেখিয়ে ইউসুফ বললেন, ‘এঁরাই আমার টিমে সৌরভ, সচীন, বীরেন্দ্র সেহবাগ। এবার আইপিএল-এ ফোকাস দিতে পারছি না। নিজের টিম নিয়ে একশো শতাংশ নজর দিয়েছি রাজনীতির ময়দানে। ছক্কা হাঁকিয়েই মানুষের ভালোবাসার প্রতিদান দেব। লক্ষ্য একটাই। সার্বিক উন্নয়ন।’

Yusuf Pathan : বাংলা ভাষা নিয়ে কি অসুবিধায় ইউসুফ?

২০০৮ সাল থেকে টানা আইপিএল খেলেছেন ইউসুফ পাঠান। আইপিএল-এ কলকাতা টিমের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। তারমধ্যে দু’বার বাঙালির আবেগের কে কে আর-এর হয়ে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি হাতে তুলে নিয়েছেন। আইপিএলে মোট ১৭৪টি ম্যাচ খেলে ইউসুফ করেছেন ৩ হাজার ২০৪ রান। আইপিএল কেরিয়ারে একটি শতরান ও ১৩টি অর্ধ শতরান রয়েছে। বল হাতে ৪২টি উইকেট নিয়েছেন। এবার ব্যাট, বল ছেড়ে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে মানুষের মন ছুঁতে রাতদিন এক করে এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ছুটে বেড়াচ্ছেন। ফুরসত নেই আইপিএল দেখার।

আর্ন্তজাতিক মানের ক্রিকেটারদের মনজুড়ে দর্শকদের উচ্ছাস, আবেগ জায়গা করে নিয়েছে। জাতীয় দল থেকে অবসর নিলেও তাঁরা নিজেদের প্রাক্তন বলে ভাবেন না। খেলোয়াড়দের মন পড়ে থাকে বাইশ গজে। সুযোগ পেলেই মাঠে নামেন। আর আইপিএল মানেই ভারতীয় ক্রিকেটের মহারণভূমি। জাতীয় দলের প্রাক্তন অলরাউন্ডার ইউসুফ এবার আইপিএল থেকে সম্পূর্ণ নজর ঘুরিয়ে নিয়েছেন। হোটেলের ঘরে রিমোর্ট হাতে সংবাদ চ্যানেলগুলি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখছেন। জেলার অভিজ্ঞ রাজনীতিকদের সঙ্গে বসে লক্ষ্যভেদের রণকৌশল সাজাচ্ছেন। এমনকী নিজের ফিটনেস নিয়েও ভাবার অবসর নেই।

এই বিষয়ে ইউসুফ বলেন, ‘এখন জিম করছি না। রমজান মাসে রোজা রেখেছি। এটাই নিজেকে ফিট রাখার অন্যতম জিমখানা। ২০০৮ সাল থেকে বাঙালি খাবারে মন মজেছে। মন চাইলেও এখন ভরপেট খাচ্ছি না। নির্বাচনের পরে ভরপেট গোলাপ জামুন খাব। মানুষের ভালোবাসা আমার মন ভরিয়ে রেখেছে। যুবক এবং অভিজ্ঞ সবাই পাশে আছে এটাই আমার ইউএসপি।’ বলতে গেলে এতেই ফিট ও তরতাজা থাকছেন ইউসুফ পাঠান।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *