২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম বিজেপির দখলে হয়ে গিয়েছিল। এবার সেই আসন পুনরুদ্ধারের জন্য মাঠে নামলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝাড়গ্রাম লোকসভার সমস্ত বিধানসভার নেতৃত্বদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করলেন তিনি। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে বৈঠকে করেন। একজোট হয়ে আগামী লোকসভায় একাধিক নতুন নির্দেশ দিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।বিগত লোকসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম লোকসভা দখল করেছিল বিজেপি। জঙ্গলমহলের ওই এলাকা হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে বিজেপির হাতে। ওই পরিস্থিতিতে জয়লাভ করেছিলেন কুনার হেমব্রম বিজেপির পক্ষ থেকে। তবে তারপরে বিধানসভা নির্বাচন ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম জুড়ে অনেকটাই শক্তি পুনরুদ্ধার করে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

লোকসভা নির্বাচনে জয় নিরঙ্কুশ করতে নির্বাচনের কৌশল নির্বাচনী বৈঠক করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কেন্দ্র থেকে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী করা হয়েছে পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত সাঁওতালি সাহিত্য জগতের নক্ষত্র কালীপদ সরেনকে। সাহিত্য জগতে তাঁর স্বনামধন্য প্রভাব তো রয়েছেই, পাশাপাশি তিনি ‘ভূমিপুত্র’ বটে। তাঁর উপরেই এবার এই আসনটি জিতে আসার ভার দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে। গত বিধানসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে এবার আসনটি তৃণমূল ছিনিয়ে আনতে পারবে বলেই আশায় জেলা নেতৃত্ব।

এদিন একটি চপারে করে দুপুর দুটো দশ নাগাদ ঝাড়গ্রাম শহরের একটি হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশেই একটি বেসরকারি গেস্ট হাউসে নেতা কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে বসে যান। এখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, শ্রীকান্ত মাহাতো, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিধায়ক দীনেন রায়, তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা, সহ বান্দোয়ান শালবনি গড়বেতা ও ঝাড়গ্রামের চারটি ব্লকের তৃণমূলের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতৃত্ব ও বিধায়করা।

Abhishek Banerjee : অনুব্রত না থাকলেও মার্জিন বাড়ানোর টার্গেট, বার্তা অভিষেকের
বিভিন্ন জেলার সংগঠন নিয়েই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা স্তরের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রুদ্ধদ্বার এই বৈঠক চলেছে বিকেল ৪:৪০ পর্যন্ত। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোন কথা না বলেই দ্রুত হেলিকপ্টারে করে বেরিয়ে যান তিনি। তবে সূত্রের খবর-ভেতরে দলের কর্মীদের একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন নতুন রণকৌশল হিসেবে। পুরনো কর্মী ও বিভিন্ন কারণে বসে যাওয়া কর্মীদের সক্রিয় করার জন্য সমস্ত পথ অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছেন জনপ্রতিনিধি তথা বিধায়কদের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *