কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে তাঁর একাধিক রায় চর্চায় আসে। শ্রাবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাকরি গিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এক নির্দেশেই। যদিও সেই রায় পরবর্তীতে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন এই শিক্ষিকা। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে ফের কাজে যোগদান করেছেন ওই শিক্ষিকা। এবার তাঁর স্বামী দীপককেই দেখা যাচ্ছে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রচারে-মিটিংয়ে-মিছিলে।
এদিকে দীপকের স্পষ্ট দাবি, স্ত্রীর চাকরির জন্য তিনি কাওকে এক পয়সা দেননি। তিনি নিজেও কৃষি শিল্প বিদ্যালয়ের পার্শ্ব শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্লকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রচারে সবসময় দেখা যায় দীপিককে। তাঁদের একফ্রেমে দেখা যাওয়া নিয়ে বঙ্গ রাজনৈতিক মহলে রীতিমতো তোলপাড় পড়ে গিয়েছে।
দীপক জানিয়েছেন, তিনি দলের কর্মী। তাঁকে দল যে ভাবে নির্দেশ দেবে, সেই মোতাবেক কাজ করছেন তিনি। এদিকে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। তাঁদের কথায়, ‘একসময় তিনিই নির্দেশ দিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে স্ত্রীর চাকরি খেয়েছিলেন। এখন তাঁরই স্বামীর সাহায্য নিতে হচ্ছে ভোটে জেতার জন্য।’ পাশাপাশি তাঁদের আরও দাবি, ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয়ে কাজ করছেন দীপকবাবু।
উল্লেখ্য, বিচারপতি থাকাকালীন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রকাশিত হয়েছিল শ্রাবন্তীর OMT শিট। সেখানে দেখা যায় ৫৫-র মধ্যে মাত্র ১৮টির উত্তর দেওয়া। এরপরেই বহু শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি বাতিল করে দেওয়ার নির্দেশ দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে অবশ্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ফের তাঁরা চাকরিতে যোগদান করেছেন।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের কয়েকদিন আগেই বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং যোগদান করেন BJP-তে। তাঁর বিরুদ্ধে এবার তমলুক কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য।