আদালতের আরও পর্যবেক্ষণ, তথ্য প্রযুক্তি বিজ্ঞান বলছে ডাটা সহজে নষ্ট হয় না। এমনকি মুছে ফেললেও তা পুনরুদ্ধার সম্ভব। তাই ওএমআর শিটের ডেটাও পাওয়া যেতে পারে। বিচারপতি জানান, ওই সব ডেটা বা তথ্য সিবিআইকে খুঁজে বের করতে হবে। হার্ডডিস্ক, অন্য কোনও সূত্র বা আবার প্রয়োজনে পর্ষদও অফিসেও যেতে পারবে সিবিআই।
বিচারপতির মন্তব্য, ‘পৃথিবী থেকে মঙ্গলে গেলেও ডেটা পাওয়া সম্ভব। ওই ডেটা না পাওয়া গেলে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করতে বাধ্য থাকবে আদালত।’ ২০১৪ সালের টেটের ওএমআর শিটের আসল বা হার্ডকপি নষ্ট করা হয়েছে বলে আদালতে জানায় পর্ষদ। তাদের বক্তব্য, ডিজিটাইজড ডেটা হিসাবে ওই সব তথ্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সিবিআই জানায়, তদন্তে উঠে এসেছে ৩০৪ জনকে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। চার্জশিট এবং অতিরিক্ত চার্জশিট ফাইল করা হয়। আরও তদন্ত চলছে। চূড়ান্ত চার্জশিট এখনও দেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিকের ওএমআর শিট সংক্রান্ত মামলাগুলির শুনানি চলছিল হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। তিনি ইস্তফা দেওয়ায় মামলাগুলি যায় বিচারপতি মান্থার এজলাসে। মঙ্গলবার বিচারপতি মান্থা জানান, এই মামলার সিবিআই-এর অনেক রিপোর্ট এজলাসে আসেনি। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে ওই সব রিপোর্ট এজলাসে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।