স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, পুলিশ গুলি চালিয়েছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ। প্রথমে কলকাতা হাইকোর্ট CID তদন্তের নির্দেশ দেয় এই মামলায়। কিন্তু, গত বছর মে মাসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এই মামলার প্রেক্ষিতে NIA তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথাও বলেন বিচারপতি।
কিন্তু, মামলাকারীরা অভিযোগ করে, এই নির্দেশের পর দশ মাস কেটে গিয়েছে কিন্তু এখনও পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের রায় কার্যকর করে ক্ষতিপূরণ দেয়নি সরকার। পাশাপাশি CID NIA-র হাতে কোনও নথিও তুলে দেয়নি। এরপরেই রাজ্যের তিন উচ্চ পদস্থ আধিকারিকের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি। পাশাপাশি প্রথমে তাঁদের সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল হাইকোর্টের তরফে। কিন্তু, তাঁরা হাজিরা দেননি।
এরপরেই গত ১২ এপ্রিল আদালত স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল, তিন জনকেই ভার্চুয়ালি হাজির থাকতে হবে। মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং এডিজি সিআইডির বিরুদ্ধে রুলও জারি করেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। এরপর বিচারপতি মান্থার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে এই মামলা। রাজ্য সেখানেও ধাক্কা খায়। NIA তদন্ত এবং ক্ষতিপূরণ দুই নির্দেশই বহাল রাখা হয়। ১৫ এপ্রিল আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ভার্চুয়ালি হাজিরা দেন এই তিন আধিকারিক।