পাশাপাশি রায়গঞ্জে বিজেপি প্রার্থী কার্তিকচন্দ্র পালের সমর্থনে প্রচার সভায় উপস্থিত হয়ে মোদী বলেন, ‘আগামীকাল রামনবমীর মহা উৎসব উদযাপিত হবে। এই সময় এত বিপুল সংখ্যায় আপনাদের উপস্থিতি, রায়গঞ্জের এই উৎসাহ, এটাই বলছে যে বাংলায় এই নতুন বছর নতুন আশা নিয়ে এসেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখানে রামনবমীর শোভাযাত্রার অনুমতি পাওয়া যায় না। তার জন্য পুণ্যার্থীদের আদালতে যেতে হয়। কিন্তু রামনবমী ও দুর্গাপুজোর শোভাযাত্রায় যারা পাথর ফেলে তাদের তৃণমূল সরকার পুরো অনুমতি দিয়ে রেখেছে।’
এদিকে রাম নবমী নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহারে সভা তিনি বলেন,’দেশে খুব কঠিন অবস্থা চলছে, যেই নির্বাচন আসবে আবার একটা যুদ্ধ, যুদ্ধ খেলা করবে, হিংসা করতে পারে। ১৭ তারিখ ওদের অশান্তি করার দিন, ওরা চায় অশান্তি করে এনআইএ ঢুকিয়ে ভোট বানচাল করতে, হিংসার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে, কেউ প্ররোচনায় পা দেবেন না, শান্তি বজায় রাখতে হবে। আপনাদের এখানকার প্রার্থী একজন গুন্ডা, তিনি আবার আগুন লাগাবেন, শীতলকুচির মতো গুলি চালিয়ে দেবে।’
প্রসঙ্গত, রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে অতীতে আশান্তি ছড়িয়েছে রাজ্যে। গতবছর হাওড়া শিবপুর থানা এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ। এবার নির্বাচনের আগে সেই রামনবমীকে ঘিরেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি।