রাজ্য সরকার বাংলার মানুষকে কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে বলে বিভিন্ন সময় অভিযোগ করতে শোনা গিয়েছে বিজেপির ছোট থেকে বড়, সমস্ত স্তরের নেতাকে। পালটা আবার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধার কথা তোলা হয় রাজ্য সরকার তথা তৃণমূলের তরফে। এবার রাজ্যে প্রচারে এসে চিকিৎসা নিয়ে বড় মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।রায়গঞ্জে দলীয় প্রার্থী কার্তিকচন্দ্র পালের সমর্থনে প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭০ বছরের বেশি বয়সী সমস্ত বয়স্ক মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন। আপনারা পরিবারের সমস্ত বয়স্কদের বলে দিন, এখন রোগ লুকনোর দরকার নেই। খরচ নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই। আপনাদের ছেলে দিল্লিতে বসে আছে, ও আপনাদের চিন্তা করবে।’ একইসঙ্গে মোদী আরও বলেন, ‘আজ সবাই এটাই বলছে ৪ জুন ৪০০ পার। বাংলার মাটি থেকে স্বামী বিবেকানন্দ, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরা দেশকে দিশা দিয়েছেন। বাংলার এই বিচারধারাই এখন বিজেপির দর্শনের অংশ। নিজেদের এই দর্শনের সঙ্গেই বিজেপি সংকল্পপত্র জারি করেছে। বিজেপির এই সংকল্প পত্র মোদীর গ্যারিন্টি কার্ড। মোদীর গ্যারান্টি হল গ্যারন্টি পূরণ হওয়ার গ্যারন্টি।’

এদিন বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূলকে টার্গেট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল মানে বিশ্বাসঘাতকতা ও অত্যচার, তৃণমূল মানে দুর্নীতি ও পরিবারবাদ। তৃণমূল নাগরিকত্ব দেওয়ার সিএএ আইনের বিরেধিতা করছে। এই বিষয়ে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে। এরা নিজেদের ভোট ব্যাঙ্কের বৃদ্ধির জন্য বাংলার ভবিষ্যৎকে বাজি লাগিয়েছে।’ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর নাম করে তিনি বলেন, ‘মমতাদিদির সরকারে মা বোনরা সুরক্ষিত নয়। সন্দেশখালির ঘটনা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। প্রকাশ্যে মহিলাদের উপর অত্যাচার করা হত। তাঁদের বন্ধক বানিয়ে রাখা হচ্ছে। শক্তির উপাসক বাংলা কি এদের সাজা দেবে না?’ এদিন নিজের ভাষণে সুকুমার রায়ের কবিতার দু’টি লাইন উল্লেখ করে রাজ্যের পূর্বতন কংগ্রেস, বাম ও বর্তমান তৃণমূল সরকারকে নিশানা করেন নমো।
‘ষড়যন্ত্র করেছে, কিন্তু জয় সত্যেরই হয়’, রামনবমী নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা মোদীর

মোদীর অভিযোগ, ‘আমরা বাংলার বিকাশের জন্য লাগাতার প্রয়াস করছি, তৃণমূল চেষ্টা করছে যাতে মোদীর প্রকল্পের সুবিধা মানুষ না পায়। হয় তারা কেন্দ্রী গরীব কল্যাণ প্রকল্পকে আটকে দেয়, নয়ত তাতে নিজেদের স্টিকার লাগিয়ে দেয়। মোদী বাংলায় এইমস শুরু করে, আর এখানকার সরকার বলে তাদের থেকে পারমিশন কেন নেয়নি? পিএম আবাস গরীবের বদলে ভুল লোকেদের দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার মনরেগার জন্য টাকা দিয়েছে, আর সেটা তৃণমূলের লোকেরা খেয়ে নিয়েছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *