প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই কলকাতায় বেহালা ফ্লাইং ক্লাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপ্টারে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। আয়কর দফতরের কর্তারা হেলিকপ্টারে তল্লাশি চালায়। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি, তল্লাশি চালিয়ে আয়কর দফতরের কর্তাদের খালি হাতে ফেরত যেতে হয় বলে দাবি করে তৃণমূল নেতৃত্ব। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হন অভিষেক।
অন্যদিকে, পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে রুটিন মাফিক তল্লাশি চালানো হয়েছে। বর্তমানে আদর্শ আচরণ বিধি চালু থাকার কারণে কমশিনের আওতায় রয়েছে পুলিশ বাহিনী। কমশিনের নির্দেশ মেনেই এই তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। কোচবিহারের দেওয়ানহাট এলাকায় এদিন নিশীথের গাড়ি আটকানো হয়। সেখানে কিছুক্ষণের জন্য পুলিশের সঙ্গে সামান্য বচসায় জড়িয়ে পড়েন নিশীথ প্রামাণিক। তিনি, পুলিশ নয়, কমিশনের আধিকারিকরা তল্লাশি চালাতে পারেন বলে জানান মন্ত্রী। এরপরেই নিশীথের গাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।
তল্লাশির সময় কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপস্থিতি ছিলেন দিনহাটার এসডিপিও ধীমান মিত্র, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট রমাল সিং বৃদ্ধি । তবে তল্লাশি চলাকালীন কিছু পাওয়া যায়নি। গোটা বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে এই তল্লাশির জন্য শেষ মুহূর্তের প্রচারের কিছুটা বিলম্ব হল বলে প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন নিশীথ প্রমাণিক।