এর আগে কোচবিহারের সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘খুব কঠিন অবস্থা চলছে দেশে, যেই ভোট আসবে আবার একটা যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা করবে, হিংসা করতে পারে। ১৭ তারিখ (রামনবমী) ওদের অশান্তি করার দিন, ওরা চায় অশান্তি করে এনআইএ ঢুকিয়ে নির্বাচন বানচাল করতে। ওরা হিংসার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। কিন্তু কেউ প্ররোচনায় পা দেবেন না, শান্তি বজায় রাখতে হবে।’
এদিকে রাজ্যে প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখেও উঠে এসেছে রামনবমী প্রসঙ্গ। নিশানা করেছেন তৃণমূলকে। মঙ্গলবার বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুদারের সমর্থনে নির্বাচনী সভা করতে এসে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের রামনবমী বিশেষ, নবরাত্রী বিশেষ, আর বাংলা নববর্ষও বিশেষ। কারণ এটাই প্রথম রামনবমী, যখন অযোধ্যায় রামন্দিরে রামলালা বিরাজমান। আমি জানি, তৃণমূল এবারেও রামনবমী উৎসবকে আটকানোর সম্পূর্ণ চেষ্টা করেছে, সব ধরনের ষড়যন্ত্র করেছ, কিন্তু জয় সত্যেরই হয়, আর সেই জন্য আদালতের থেকেও অনুমতি পাওয়া গিয়েছে।’ পাশাপশি রায়গঞ্জে দলীয় প্রার্থী কার্তিকচন্দ্র পালের সমর্থনে সভা করতে গিয়ে মোদী বলেন, ‘এখানে রামনবমীর শোভাযাত্রার অনুমতি মেলে না, তার জন্য ভক্তদের আদালতে যেতে হয়। কিন্তু রামনবমী এবং দুর্গাপুজোর শোভাযাত্রায় যারা পাথর ছোড়ে তাদের তৃণমূল সরকার পুরোপুরি অনুমতি দিয়ে রেখেছে।’