অভিষেক ব্যানার্জি: অভিষেকের পক্ষপাতীদের তীব্রতা


সূর্যকান্ত কুমার, কালনা
ফলই বলে দেবে দলের পদাধিকারীদের ভবিষ্যৎ। বৃহস্পতিবার কালনার কর্মিসভায় দলের নেতাদের এমনই বার্তা দিয়ে রাখলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিন কালনায় বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের সাত বিধায়ক, দলের পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বেলা দুটো ৩৫ মিনিটে কড়া রোদে কালনা শহরের এলআইসি অফিস লাগোয়া মাঠে নামে অভিষেকের হেলিকপ্টার।কর্মী সম্মেলনের জন্য বাছা হয় শহরের একটি ব্যাঙ্কোয়েট হল। এদিনের সভায় বিধায়ক, প্রার্থী, দলের পদাধিকারী সহ ১১৩ জনের সামনে কালনা পুরসভার পরিষেবা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন অভিষেক। সভায় তিনি জানান, তাঁকে বেশ কিছু নাগরিক চিঠি দিয়ে বেহাল পরিষেবার বিষয়টি জানিয়েছেন। এর জন্য কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, কাউন্সিলার, শহর সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক করার নির্দেশ দেন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় এবং স্বপন দেবনাথকে।

মেমারি পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন বিষয়ী ও শহর সভাপতি স্বপন ঘোষালের দ্বন্দ্ব নিয়েও আলোচনা হয়। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নিতে বলা হয় মেমারি ১ ব্লক সভাপতি নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্যকেও। ১০ মার্চ প্রার্থী ঘোষণার পর থেকে এখনও অবধি কী করা হয়েছে তা জানতে চান অভিষেক। ডোর টু ডোর প্রচারে জোর দেন তিনি।

এক জন ভোটারের কাছে অন্তত চারবার যাওয়া, মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ তৈরির নির্দেশ দেন। পুরসভা, পঞ্চায়েতে জেতা আসনে কেন লোকসভা, বিধানসভার মতো নির্বাচনে দল পিছিয়ে পড়ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এর পরেই স্পষ্ট জানিয়ে দেন, রেজাল্টের উপরেই ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। ভালো ফলে যেমন পুরস্কার মিলবে, খারাপ ফলের জন্য তেমনই তৈরি থাকতে হবে।

‘নাড্ডাকেও গ্রেফতার করা উচিত’, কেজরিওয়ালের পাশে দাঁড়িয়ে মন্তব্য অভিষেকের

বৈঠক শেষে কালনার এক নেতা বলেন, ‘খুবই তিরষ্কৃত হতে হলো। তবে বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের নেতা, কর্মীদের মধ্যে যে ঝিমুনি ভাব চোখে পড়ছিল এবার তা অনেকটা কাটবে।’ বৈঠক শেষে জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘স্বপন আর আমাকে ২০ এপ্রিল বর্ধমানের দলীয় কার্যালয়ে কালনা পুরসভার কাউন্সিলার, শহর সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক করে বার্তা পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের অভিষেক বলেন, ‘এদিন বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের সাংগঠনিক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। অত্যন্ত ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, যখন ফল ঘোষণা হবে তখন এই কেন্দ্রের ব্যবধান গত নির্বাচনের তুলনায় অনেক বাড়বে। নির্বাচনে রাজনৈতিক মাটি সরে গিয়েছে দেখে বিরোধীদের হতাশার বহিঃপ্রকাশ ঘটছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *