জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, এই কেন্দ্রের সব শিবিরের সঙ্গে ‘ভালো’ সম্পর্ক রয়েছে কৃষ্ণ কল্যাণীর। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকে কৃষ্ণ কল্যাণী একটানা রায়গঞ্জ ও কালিয়াগঞ্জ বিধানসভায় বিজেপিতে ভাঙন ধরিয়েছেন। এই দুটি বিধানসভাতেই কিছুটা পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। এছাড়া, করোনা আবহ থেকে নিয়মিত দুঃস্থ ও বিশেষ ভাবে সক্ষমদের সহযোগিতা করেছেন কৃষ্ণ। রাজবংশী, আদিবাসী ও সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে কৃষ্ণ কল্যাণীর বড় ভূমিকা রয়েছে। যে কারণে উপযুক্ত প্রার্থীকে দল লড়তে দিয়েছে বলে দাবি জেলা তৃণমূলের।
উত্তর দিনাজপুর জেলার একটিমাত্র লোকসভা কেন্দ্র রায়গঞ্জ। তবে এবার বলা যায়, ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে এই কেন্দ্রে। একসময় বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সী জিতে আসতেন এই কেন্দ্র থেকে। ২০০৯ সাল পর্যন্ত এই আসন ছিল বেশিরভাগ সময় কংগ্রেসের দখলে। এরপর সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম, গতবার বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী এই কেন্দ্র থেকে জিতে আসেন। কংগ্রেসের তরফে এবার তরুণ প্রার্থী ভিক্টরকে এই কেন্দ্রে দাঁড় করানো হয়েছে।
অন্যদিকে, বিজেপির তরফে প্রার্থী করা হয়েছে কার্তিক চন্দ্র পালকে। পেশায় ব্যবসায়ী তিনি। এর আগে ২০১৫ সালে কালিয়াগঞ্জ পুরসভার ভোটে কংগ্রেসের টিকিটে জিতে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান হন। কিছুদিনের মধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলরদের নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। সেই সময় পুরসভা তৃণমূলের দখলে যায়। এরপর ২০২০ সালের ১৯শে ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে একই মঞ্চে বিজেপিতে যোগ দেন কার্তিক। সেই থেকে জেলায় বিজেপির হয়ে সংগঠনের দিকে নজর দিয়েছেন কার্তিক। তাঁর সমর্থনে দীর্ঘদিন বাদে রায়গঞ্জে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সভা করেছেন। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের কৃষ্ণ কল্যাণীকে জোর টক্কর দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী।