প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে সপ্তম বামফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সিঙ্গুরে গাড়ি কারখানা তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। কিন্তু, এরপর গঙ্গা দিয়ে বহু জল গড়িয়ে যায়। কৃষি জমিতে কারখানা গড়া হচ্ছে, এই সব আরও একাধিক দাবিকে সামনে রেখে আন্দোলন করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বঙ্গ রাজনীতির ইতিহাসে অন্যতম সফলতম মেগা আন্দোলনের মধ্যে অন্যতম সিঙ্গুর আন্দোলন, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের। রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের প্রেক্ষাপট লেখার ক্ষেত্রে অন্যতম ক্ষেত্র ছিল সিঙ্গুর, মত তাঁদের। ২০০৮ সালে সিঙ্গুর থেকে সরার কথা জানায় টাটারা। এরপর এক দশকের বেশি সময় কেটে গিয়েছে। সিঙ্গুর নিয়ে নানা মুনির নানা মতামত উঠে এসেছে।
২০১৬ সালে বাম জমানাতে টাটাদের গাড়ি কারখানার জন্য নেওয়া জমি শীর্ষ আদালতের নির্দেশে ফেরত দেওয়ার সময় অনেকাংশে ‘চাষযোগ্য’ করে দেওয়া হয়, দাবি করা হয়েছিল এমনটাই। জেলা কৃষি দফতরের একটি সূত্রের দাবি, সিঙ্গুরের ন্যানো কারখানার প্রকল্পের ৯৯৭ একর জমির মধ্যে ৮৪৩ একর কৃষিযোগ্য। তার মধ্যে ৫০০ একর জমিতে একসময় শুরু হয়েছিল চাষ। ২৩০ একর জমিতে হয়েছিল ধান চাষ। ৫ একরে হয় আলু, ৭০ একরে তিল, ২৫ একরে কলাই, ২৫ একরে মুগ চাষ।
উল্লেখ্য, সিঙ্গুর আন্দোলন রাজ্যের পাঠ্যবইতে ঠাঁই পেয়েছে। নতুন প্রজন্মও এই সিঙ্গুর আন্দোলনের প্রক্ষাপট জানতে পারছে পাঠ্যবইয়ের মাধ্যমে। নতুন করে এই মামলা কোন বিচারপতির কাছে যায়, সেই দিকে সব নজর।