সেই কারণে শেষমেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। ৪৮ দিন ভাড়া বাবদ ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা দিতে হবে রাজ্যকে। হেলি অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ার কারণেই এবার এই বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে রাজ্যকে।
তবে, এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স ব্যবহারের বিষয়টি কতোটা কার্যকরী হবে, সেই নিয়ে সন্দেহ রয়েছে রাজ্যের আমলাদের মধ্যে। হেলি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। যে কোনও ভূমিরূপ হেলিকপ্টার অবতরণ করা যেতে পারে। সীমিত সমতল জায়গা পাওয়া গেলে সেখানেই হেলিকপ্টার অবতরণ করানো যেতে পারে। কিন্তু, এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স অবতরণ বিষয়টি অনেকটাই কঠিন।
বিমান অবতরণের জন্য দীর্ঘ রানওয়ে এবং এয়ারপোর্ট প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে, দমদম, অন্ডাল, বাগডোগরা ও কোচবিহার এই চারটি এয়ারপোর্ট ব্যবহার করতে পারবে এই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স অবতরণ করানোর জন্য। এবার, দার্জিলিঙের কোথাও কোনও ভোটার অসুস্থ হলে তাঁকে গাড়ি করে বাগডোগরা নিয়ে আসতে হবে। সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স করে নির্দিষ্ট হাসপাতাল পাঠানো যেতে পারে। সেক্ষেত্রে, সময় অনেকটাই লাগবে। মাঝ রাস্তায় রোগীর বিপদ ঘটে যেতে পারে।
এই সমস্যা দূর করার জন্য আরও একটি উপায় ভাবা হয়েছে। হাসিমারা, কলাইকুণ্ডা ও পানাগড় বিমান ঘাঁটি রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারতীয় সেনা বাহিনীর কাছে এই বিমান ঘাঁটিগুলি নির্বাচনের সময় ব্যবহারের জন্য অনুমতি চালয়া হয়েছে। ভারতীয় সেনার তরফে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় অনুমতি এসে গিয়েছে বলে খবর। এরপরও প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলি থেকে ভোটারদের সুবিধার্থে এই পরিষেবা কতোটা কার্যকরী হবে সেই বিষয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।