তাঁরা ই-মেল করে শেখ শাহজাহান ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন বলে সিবিআই সূত্রের খবর। এ দিন সিবিআইয়ের পাঁচ সদস্যের দল ওই অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলেন, তার পর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জমি সংক্রান্ত নথিপত্র দেখতে চান গ্রামবাসীদের কাছে।
গ্রামবাসী ওই অভিযোগকারীদের বক্তব্য, ‘আমাদের কাগজপত্র দেখার পর সিবিআই আধিকারিকরা আরও কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলেন। শাহজাহানের লোকজন কী ভাবে ওই জমি ও ভেড়ি দখল করেছে, সেই ব্যাপারে সিবিআই জানতে চায়।’
ভেড়ি-জমি ছিনিয়ে নেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে শেখ শাহজাহান এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। তাদের নির্যাতনের বিরুদ্ধেও সরব সন্দেশখালির বহু মহিলা। সেই সব ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তে নেমেছে সিবিআই। শনিবারও সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে গ্রামবাসীদের অভিযোগ শুনেছেন সিবিআই অফিসাররা।
এ দিন বিকেলে সিবিআইয়ের ওই আধিকারিকেরা কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন। সিবিআই সরেজমিনে সন্দেশখালিতে পড়ে থেকে তদন্ত শুরু করায় জমি ফেরত পাওয়া যাবে বলে গ্রামবাসীদের অনেকেরই আশা। তাঁদের কারও কারও বক্তব্য, সিবিআই তাঁদের জমির ফিরিয়ে দেওয়ার বন্দোবস্ত করবে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপও করবে।