Belur Math,অরুণাচল-মধ্যপ্রদেশে শিক্ষার প্রসারে বিশেষ ভূমিকা, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের নয়া অধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দজি মহারাজ – swami gautamanandaji maharaj became the new president of ramakrishna math and mission


রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের নয়া অধ্যক্ষ হলেন স্বামী গৌতমানন্দ। সহ অধ্যক্ষ ছিলেন তিনি। স্বামী স্মরণানন্দজি মহারাজের দেহাবসানের পর অন্তর্বর্তীকালীন অধ্যক্ষর দায়িত্বভার নেন মঠ ও মিশনের অন্যতম বর্ষীয়ান সহ অধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দ। স্বামী স্মরণানন্দজি মহারাজের দেহাবসনের পর অধ্যক্ষের পদটি শূণ্য হয়ে যায়। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন সূত্রে জানান হয়েছে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিচালিত শতাব্দীপ্রাচীন এই আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষের পদ শূন্য থাকে না। গত ৭ এপ্রিল প্রয়াত অধ্যক্ষের ভান্ডারা অনুষ্ঠানের পর মাস খানেকের মধ্যে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরবর্তী অধ্যক্ষ নির্বাচিত করা হয়। ততদিন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী অধ্যক্ষ হিসাবে অধ্যক্ষের কাজ সামলেছেন গৌতমানন্দজি। এদিন বেলুড় মঠের তরফে প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বামী গৌতমানন্দজি নাম ঘোষণা করা হয়।

বেলুড় মঠের তরফে জানান হয়েছে মঠের অছি পরিষদের সবচেয়ে প্রবীণ সহঅধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দজি মহারাজ। তাঁকেই অধ্যক্ষ হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। গত ২৭ মার্চ প্রয়াত অধ্যক্ষ মহারাজের অন্ত্যেষ্টির দিন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক সুবীরানন্দ মহারাজ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, স্বামী স্মরণানন্দজির পর নতুন অধ্যক্ষ নির্বাচিত হতে আনুমানিক এক মাস লাগবে। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ‘আমাদের সংঘ গণতান্ত্রিক সংঘ। পরবর্তী অধ্যক্ষ কে হবেন তা অছি পরিষদ ও পরিচালন সমিতি ঠিক করবে। সেই সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেবেন দীর্ঘ ২০-৩০ বছর ধরে মঠ ও মিশনের কার্যভার সামলাচ্ছেন যে সমস্ত সন্ন্যাসীরা।’

Ramakrishna Math

রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের নয়া অধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দজি মহারাজ

১৯৫১ সালে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে যোগ

রামকৃষ্ণ মিশন সূত্রে খবর, স্বামী গৌতমানন্দজি রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে যোগ দেন ১৯৫১ সালে। তিনি আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণ নেন স্বামী রঙ্গনাথানন্দজির কাছে। ১৯৬৬ সালে মঠের দশম অধ্যক্ষ স্বামী বীরেশ্বরানন্দজির কাছে সন্ন্যাস দীক্ষা নেন তিনি। দীর্ঘদিন অরুণাচল প্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে গ্রামীণ আদিবাসী জনসাধারণের মধ্যে শিক্ষা প্রসারের কাজ করেছেন। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন এবং নয়া দিল্লিতে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং-এর মত দু’টি গুরুত্ত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় সংস্থায় সাধারণ ও এক্সিকিউটিভ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন গৌতমানন্দজি।

অংশ নিয়েছেন বহু ত্রাণকার্যে

এরপর ১৯৯০ সালে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ট্রাস্টি হিসাবে নির্বাচিত হন। ১৯৯৫ সালে চেন্নাই মঠের প্রধান হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। দেশে বহু ত্রাণকার্যে অংশ নিয়েছেন তিনি। দেশ ও বিদেশে বহু জায়গায় তাঁর বক্তৃতা ভারতের আধ্যাত্মিকতা ও বেদান্ত দর্শনের বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। এমন একজন প্রাজ্ঞ ও সংস্কৃতি মনস্ক প্রবীণ সন্ন্যাসী রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ পদে কার্যভার গ্রহণ করায় খুশি ভক্ত ও অনুরাগীরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *