অরূপ বসাক: দ্বিতীয় দফার ভোট হচ্ছে এ রাজ্যের তিন জেলায়। সব জায়গায় ভোট যাতে শান্তিপূর্ণভাবে হয়, তার ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। বিভিন্ন বুথে যেমন মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, রয়েছে পুলিসও। তবে হাতির চলাচলপ্রবণ এলাকায় এবার বাড়তি নজরদারি করছে প্রশাসন। বিশেষ করে যেসব বুথে হাতির আনাগোনা বেশি সেই সব বুথে বন দফতরের পক্ষ থেকে বনকর্মীরা রয়েছেন, যেমন ছিলেন প্রথম দফার ভোটেও। এই ছবি দেখা গেল কালিম্পং জেলার মংপং বনবস্তি এলাকায়।
আরও পড়ুন: Gold Price Today: অবিশ্বাস্য! আজ বাংলায় সোনার দাম সবচেয়ে কম! এখনই ছুটুন জুয়েলারি শপে…
মংপং বনবস্তির যে প্রাথমিক স্কুলে ভোট হচ্ছে, তার আশেপাশেই রয়েছে মংপং জঙ্গল। এই জঙ্গল থেকে হামেশাই হাতির দল বেরিয়ে চলে আসে এই এলাকায়, এমনকি স্কুলপ্রাঙ্গণেও!
তাই এ এলাকায় ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, সেজন্য বন দফতরের পক্ষ থেকে বুথের চারপাশে মোতায়েন করা হয়েছে বনকর্মীদের। জানা গিয়েছে, ভোর ছ’টা থেকে সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত এলাকায় পাহারা দেবেন বন দফতরের কর্মীরা। হাতির দল যাতে কোনও মতে ভোটকেন্দ্রে চলে আসতে না পারে, সেদিকে নজর রেখে চলেছে বন দফতর। বন দফতরের এই উদ্যোগে খুশি এলাকার সমস্ত সাধারণ মানুষ, খুশি ভোটাররাও। আজ সকাল থেকেই শান্তিতে ভোট দিচ্ছেন মংপং বনবস্তির মানুষজন। আসলে দুদিন আগেই এই এলাকায় ঘুরে গিয়েছে এক হাতি। ফলে আতঙ্ক ছিলই।
প্রথম দফার ভোটেও বিভিন্ন বুথে যেমন মোতায়েন করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী, তেমনই ছিল পুলিস। পাশাপাশি হাতির উপদ্রবপ্রবণ এলাকায় বাড়তি নজরদারিও করেছিল প্রশাসন। উত্তরবঙ্গের বহু জায়গায় হাতির আশঙ্কা থাকে। কী পরীক্ষার সময়ে, কী ভোটের সময়ে– হাতির হাত থেকে নিস্তার নেই কারও। এবারের নির্বাচনী ব্যবস্থার কাজের তালিকায় তাই হাতি ঠেকোনার কথাটাও মাথায় রাখা হয়েছে। সেই হিসেবে যেসব বুথ-অঞ্চলে হাতির আনাগোনা বেশি, সেই সব বুথে বন দফতরের পক্ষ থেকে কর্মীরা মোতায়েন রয়েছেন। মালবাজার মহকুমার ক্রান্তি ব্লকের মেচ বস্তি এলাকায় এই ছবিই দেখা গিয়েছিল। মেচ বস্তির যে প্রাথমিক স্কুলে ভোট হচ্ছিল, তার আশেপাশেই তারঘেরা জঙ্গল। এই জঙ্গল থেকে হামেশাই হাতির দল চলে আসে মেচ বস্তি এলাকায় এবং স্থানীয় স্কুলপ্রাঙ্গণ এলাকাতেও।
আরও পড়ুন: Bangladesh: আবহাওয়া দফতর নির্দ্বিধায় জানাল, মে মাসেই বৃষ্টি! শেষ হতে চলেছে কষ্টের দিন…
ভোটাররা যাতে এই সব এলাকায় নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন সেজন্য বন দফতরের পক্ষ থেকে এই সব বুথের চারপাশে মোতায়েন করা হয়েছিল বনকর্মীদের। এই দফাতেও হয়েছে। জানা গিয়েছে, ভোর ছটা থেকে সন্ধ্যা ছটা পর্যন্ত এলাকায় পাহারা দেবেন বন দফতরের কর্মীরা। হাতির দল যাতে কোনও মতেই ভোটকেন্দ্রে চলে আসতে না পারে, সেদিকে সারাদিন ধরে সতর্ক নজর রেখে চলেছে বন দফতর। বন দফতরের এই উদ্যোগে খুশি এলাকার মানুষ থেকে ভোটাররা।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)