মুর্শিদাবাদের নির্বাচনী সভা থেকে ফের একবার একযোগে কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপিকে নিশানা করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়। কংগ্রেস ও বামেদের আসন সমঝোতা নিয়েও তীব্র আক্রমণ শানালেন তিনি। কংগ্রেসকে ‘মার্কসবাদী কংগ্রেস পার্টি’ বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল নেত্রী।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কেরালায় কংগ্রেস ও সিপিএম-এর কত মারমারি। ওদিকে কুস্তি, আর এখানে মস্তি। কোথাও নিজে লড়ছে, কোথাও সিপিএম-কে দিয়েছে। এখানকার যে সিপিএম – কংগ্রেস, এদের জন্যই আমরা কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেস করেছিলাম। আমি নিজে কংগ্রেস করতাম, ছোটবেলা থেকে। শুধু এই মার্কসবাদী কংগ্রেস পার্টি তৈরি হওয়ার জন্য…।’ মুর্শিদাবাদের সভা থেকে কার্যত ওই কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম জিতবেন না বলেও দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য ১৯৯৭ সালে তৎকালীন কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে আশেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি গড়ে তোলেন তৃণমূল কংগ্রেস।

এর আগে জঙ্গিপুরের দলীয় প্রার্থী খলিলুর রহমানের সমর্থনে প্রচার সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়েও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে উঠে আসে মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের কংগ্রেস সমর্থিত বাম প্রার্থী মহম্মদ সেলিমের নাম। ওই সভা থেকেও বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএম-কে এক বন্ধনীতে রেখে আক্রমণ করেন মমতা। তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘মুর্শিদাবাদে সেলিমকে লড়তে পাঠিয়েছে কংগ্রেস, আর উত্তর দিনাজপুরে পাঠিয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লকের রামজকে, মালদায় আবার আর একজনকে লড়তে পঠিয়েছে।’ মমতার অভিযোগ, ‘যে আসনগুলো তৃণমূলের পাকা আসন, সেগুলোতে জল ঢেলে দিয়ে যাতে বিজেপিকে জেতান যায়… তৃণমূলে ভোটটা কেটে। আমি বলব ভুল করলে কিন্তু আর হবে না, এই সুযোগ হারাবেন না।’

এরপরে তৃণমূল নেত্রীকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘সবাইকে বলব আরও একটু অ্যাক্টিভ হন, পাশের কেন্দ্র মুর্শিদাবাদ, ওখানে উড়ে এসে একজন বাজপাখি দাঁড়িয়েছেন, তৃণমূলের ভোট কাটতে।’ এরপরেই মমতা আরও বলেন, ‘আমি জাকিরকে বলে গেলাম, খলিলুরকেও বলে যাচ্ছি, সবাইকে বলে যাচ্ছি, নজর দিতে হবে, এরা সকাল সন্ধ্যা গালাগালি দেবে, আর ভোট কেটে, সংখ্যালঘুদের ভোট ভাগ করে বিজেপিকে জেতাবে, এই ভুলটা আমরা যেন না করি, আমি আমার কথা আপনাদের কাছে বললাম, আবেদন করলাম।’

প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় আসন সমঝোতা করে লড়ছে বাম ও কংগ্রেস। মুর্শিদাবাদ আসন থেকে লড়ছেন সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সম্প্রতি মনোনয়ন পেশ করেছেন সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক। সেই মনোনয়নে দেখা যায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে। যদিও রাজ্যে তৃণমূল একা লড়ছে বলে বারেবারেই জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *