এই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, অপহরণ করে মোটা টাকা মুক্তিপণ নেওয়ার ঘটনার পরেও থানা অভিযোগ নেয়নি। এমনকি ভাতারের বিধায়ক বিষয়টি আপসে মীমাংসার জন্য চাপ দেন বলেও অভিযোগ। পরে পুলিশ এফআইআর নিলেও চারজনই পরের দিন জামিন পায়। সেই জামিন খারিজের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
বিচারপতির প্রশ্ন, অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়ার ঘটনার ধারা কেন যুক্ত করা হয়নি? কী করে একদিন এই জামিন পায় অভিযুক্তরা? তাদের চিহ্নিত করার জন্য কেন ব্যবস্থা করেনি পুলিশ? রাজ্যের বক্তব্য, এটা একটা রাজনৈতিক গোলমাল। উনি বিধায়কের সঙ্গে ব্যক্তিগত গোলমাল থেকে অপহরণের মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেছেন? ওনার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের।
এই ঘটনায় পরে মহিলা যোগের অভিযোগ ওঠে। ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সঙ্গে কল্যাণপুরের এক মহিলার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। মহিলার কিছু আপত্তিকর ছবি ও ভিডইয়ো ম্যানেজারের কাছে রয়েছে বলে দাবি। তা নিয়ে মহিলাকে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার ব্ল্যাকমেল করছিল দীর্ঘদিন ধরে। তা থেকে বাঁচতে মহিলা তাঁর এক পরিচিতকে বিষয়টি জানায়। তারপরই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে অপহরণ করে শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানতে চান, অপহরনের ঘটনার পরে সহবাসের অভিযোগ দায়ের হলো! আগে নয় কেন? হাইকোর্টের নির্দেশ বিধায়ককে এই মামলায় যুক্ত করতে হবে। আগামী শুনানিতে কেস ডায়রি হাজির করতে হবে। এতদিন পর ব্যাঙ্ক ম্যানেজার অপহরণ কাণ্ড ফের আরেক দিকে মোড় নিল।