এ দিন বারাসতের কলোনি মোড় থেকে ব্রিজে উঠতেই পুলিশ তাঁর গাড়ি আটকায় বলে অভিযোগ। সেখানে একপ্রস্থ কথা কাটাকাটির পর অবশ্য পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু ব্রিজ থেকে নেমে বাসস্ট্যান্ড হয়ে জেলাশাসকের দপ্তরে যাওয়ার মুখে ফের অর্জুনের গাড়ি পুলিশ আটকায় বলে অভিযোগ বিজেপির। পুলিশের বাধার মুখে পড়ে শেষে গাড়ি ঘুরিয়ে অর্জুন যশোহর রোড হয়ে জেলাশাসকের দপ্তরের পথ ধরেন।
অর্জুনের অভিযোগ, ‘যাতে আমি সঠিক সময়ে ডিএম অফিসে পৌঁছতে না পারি, তাই পুলিশ ইচ্ছাকৃত ভাবে আমাকে মিসগাইড করেছে। নির্বাচন কমিশনের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ জানাব।’ বারাসত পুলিশ জেলার সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খারিয়া বলেন, ‘এ দিন তৃণমূল-বিজেপির দু’দলের প্রার্থীর জন্য আলাদা রুট ঠিক করা ছিল। বিষয়টি প্রার্থীদের ইলেকশন এজেন্টকে জানানোও হয়েছিল। কোথাও হয়তো মিস কমিউনিকেশনের জন্য সমস্যা হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত বিজেপি প্রার্থী যেই পথ দিয়ে এসেছিলেন, সেই পথেই তাঁকে যেতে দেওয়া হয়েছে।’
এ দিন দুপুর ঠিক একটায় শতাধিক গাড়ির কনভয় নিয়ে বারাসতের জেলাশাসকের দপ্তরে আসেন অর্জুন। সঙ্গে ছিলেন প্রচুর বিজেপি কর্মী। এ দিন অর্জুনের সঙ্গে দেখা যায় নিহত মণীশ শুক্লার বাবা চন্দ্রমণি শুক্লা এবং প্রিয়াঙ্গু পান্ডেকে। নির্বিঘ্নেই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন অর্জুন। মনোনয়নপত্রে ৯৩টি ফৌজদারি মামলার উল্লেখ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অন্য দিকে, এ দিন সকালে নৈহাটির বড়মা’র মন্দিরে পুজো দিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে বের হন তৃণমূলের প্রার্থী পার্থ ভৌমিক। তিনিও এ দিন শতাধিক গাড়ি নিয়ে বারাসতে আসেন। সঙ্গে ছিলেন বিজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী, জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম, ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী ও আমডাঙার বিধায়ক রফিকুর রহমান। অর্জুনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার আধ ঘন্টা পর জেলাশাসকের দপ্তরে পৌঁছন পার্থ। পার্থ এ দিন বলেন, ‘যে ভাবে ব্যারাকপুরের মানুষ আমাকে গ্রহণ করেছেন, তাতে আমি কৃতজ্ঞ। ব্যারাকপুরের মানুষ যদি আমাকে একবার সুযোগ দেন, তা হলে আমি গুন্ডারাজ-মুক্ত ব্যারাকপুর উপহার দেব।’